আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ লিওনেল মেসিকে আর্থিক কারণে ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। আগের চুক্তিতে যাঁর জন্য ৫ বছরে ৫০ কোটি ইউরো খরচ করেছে বার্সেলোনা, সেই মেসিকে এবার অর্ধেক বেতন দিয়েও ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। কিছু খেলোয়াড়কে মাত্রাধিক বেতন দিয়ে আর অপ্রয়োজনীয় কিছু দলবদলের কারণে নিজেদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে তুলেছে তারা। এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে নতুন কোনো খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করার জন্য দলের একাধিক খেলোয়াড় বিক্রি না করলে চলছে না বার্সেলোনার।
এ অবস্থাতেই আরেকটি দুঃসংবাদ পাচ্ছে বার্সেলোনা। মেসি যেমন ক্লাবটির সর্বাধিক বেতন পাওয়া খেলোয়াড় ছিলেন, তেমনি ক্লাবটির আয়ের সবচেয়ে বড় উৎসও ছিলেন। তাঁর বিদায় যে ক্লাবটির স্পনসরদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভবিষ্যতেও নতুন স্পনসরদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে বেশ ভালো দর-কষাকষিতে পড়তে হতে পারে কাতালানদের। এসবই ভবিষ্যতের কথা। বর্তমান হিসাব বলছে, মেসির বিদায়ে ক্লাবের ব্র্যান্ড মূল্য এক ধাক্কায় ১৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কমে গেছে বার্সেলোনার।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড মূল্য নির্ধারণের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স। গত মৌসুমেই খবর এসেছে দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে বার্সেলোনা। এমনকি গত জানুয়ারিতে দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কাতেও ছিল বার্সেলোনা। ১০০ কোটি ইউরোর বেশি দেনা ক্লাবটির। তবু ফুটবল বিশ্বে বার্সেলোনা তো বার্সেলোনাই। এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তে সমর্থক সংখ্যা ও অনুসারীর দিক দিয়ে অনেক ক্লাবের কাছেই ঈর্ষণীয় তারা। ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স হিসাব করে দেখেছিল ২০২১ সালে ব্র্যান্ড মূল্যের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্লাব বার্সেলোনা।
বিশ্ববাজারে বার্সেলোনার ব্র্যান্ড মূল্য ১২৬ কোটি ৬০ লাখ ইউরো বলে জানিয়েছিল ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স। এ ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্র্যান্ড মূল্য ১২৭ কোটি ৬০ লাখ ইউরো। এই ১ কোটি ইউরোর ব্যবধানটা এবার বেড়ে যাবেই বলে ধারণা ব্র্যান্ড ফাইন্যান্সের। এই প্রতিষ্ঠানের ধারণা, শুধু মেসির বিদায়েই বার্সেলোনার ব্র্যান্ড মূল্য ১৩ কোটি ৭০ লাখ বা ১৩৭০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কমে যাবে।