মা তুমি সারা জীবন ভা্লো থাকো

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রিয় শব্দ কী? মনে হয়, শর্তহীনভাবে সবাই বলবে ‘মা’। সত্যিই তাই। এমনই বলার কথা। সিরিয়ার শরণার্থীশিবিরে একটি শিশু গাছে লিখেছিল, ‘মা, তুমি যেখানেই থাকো, সেখানেই আমাদের ঘর। সিরিয়া এখন এক জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড। মরণফাঁদ। সেখানকার মা ও শিশুদের এর থেকে বেদনার সময় আর কখনো হয়তো ছিল না।

 

সিরিয়ার এক মা তাঁর ছোট সন্তানকে বাঁচানোর জন্য আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থীশিবিরে। শিশুটি বুঝেছিল, পৃথিবীতে মা-ই সব। তাই সে গাছে তার মনের কথা লিখেছিল। এক অন্তহীন শব্দ মা।

 

আমাদের দেশের জনপদের মা-বাবাদের খুব কমই সুখের দিন ছিল। এই তো আশি-নব্বইয়ের দশকেও বেশির ভাগ মা-বাবাকে রাত-দিন কষ্ট করতে হতো শুধু এ জন্য যে তাঁদের সন্তান যেন তিনবেলা খেতে পায়। আমার মাও এমনি করে আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন। একবার ছুটির দিনে মাকে নিয়ে লেখা পড়ে আমার ভাইবোন কেঁদে ফেলেছিল। এটি মোটেই এ কারণে নয় যে আমি খুব ভালো লিখতে পারি। কারণটা হলো, মায়ের কষ্টগুলো, ছোট ছোট ভালো লাগাগুলো স্পর্শকাতর করে লিখতে পেরেছিলাম।

 

মা অনেক সময় রেগে গিয়ে সন্তান কে অভিশাপ দিয়ে থাকে কিন্তু আপনারা কি জানেন ‘মায়ের অভিশাপ কখনো সন্তানের গায়ে লাগে না। গায়ে লাগে দোয়া। হাঁসের গায়ের পানির মতো অভিশাপ ঝরে পড়ে যায়।’ পৃথিবীর সব মায়ের মন বোধ হয় এক ও অভিন্ন। সন্তানদের প্রতি তাঁদের এক নিরন্তর ভালোবাসা কাজ করে যায়। মা কে নিয়ে কথা কখনও শেষ হবে না যতই বলবেন ততই কম হবে।

 

তাই বিশেষ কোনো দিনে মাকে ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজন আছে কি না, সেটি হয়তো একটি অন্য বিতর্ক। ক্যালেন্ডারের দিনক্ষণ মেনে আর যা-ই হোক অন্তত মাকে ভালোবাসা যায় না। তবু সারা পৃথিবীর মানুষ আজ গভীর মমতায় মাকে স্মরণ করবে। জগতে মায়ের মতো প্রিয় মানুষ কেউ নেই। এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় মাকে ভালোবাসার কথা। তাঁর প্রতি সম্মান মর্যাদার কথা। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার এ দিবস পালন করা হয়।

Leave a Reply

Translate »