বিশ্ব জুড়ে দাড়ির স্টাইল এখন সবচেয়ে ট্রেন্ডিং। ঘন, সমান করে ট্রিম করা দাড়ি দেখতেও লাগে বেশ। আর বাঙালি পুরুষদের পাঞ্জাবীর সঙ্গে হালকা চাপদাড়ি সবার কাছেই আকর্ষণীয়। দাড়ি থাকা পুরুষদের প্রতি যে মেয়েরা বেশি আকর্ষিত হন, তা বিভিন্ন সমীক্ষাতেও তা প্রমাণিত। যার কারণে সুন্দর ঘন দাড়ির ট্রেন্ড তুঙ্গে। তারকা থেকে খেলোয়াড়, খারাপ হয়ে যেতে পারে আপনার লুকস।
কিন্তু দাড়ি রাখব বললেই তো আর রাখা যায় না। যদি ভেবে থাকেন দাড়ি শেভ করা বন্ধ করলেই সুন্দর এক মুখ দাড়ি হয়ে যাবে, তা হলে ভুল করবেন। হঠাৎ করে দাড়ি রাখতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সুন্দর ঘন দাড়ি পেতে মানুন এই নিয়ম।
মাথায় রাখুন ৭ কৌশলসুন্দর ঘন দাড়ি পাওয়ার :
* প্রথম বার দাড়ি বড় করতে হলে প্রায় ১-২ মাস দাড়ি কাটবেন না। এই সময়ে দাড়ি উসকো-খুসকো লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে দাড়িতে বিয়ার্ড ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে ধৈর্য্য রাখুন। ট্রিম করতে যাবেন না। এতে দাড়ির বৃদ্ধি কমে যাবে।
* ১-২ মাস পরেই ট্রিম করা শুরু করুন। প্রথম বার ট্রিম ও সেট সেলুনে করানোই ভাল। দাড়ির শেপ ও লেঙ্গথ্ ঠিক করান। তার সঙ্গে গালের যে অংশ থেকে দাড়ি শুরু হচ্ছে সেখানে ও গলার অংশতেও দাড়ি শেভ করিয়ে নিন। এর পর নিয়মিত দু-তিন দিন অন্তর শেভ করুন সেই অংশগুলি। ৪-৫ দিন অন্তর ট্রিম করুন।
* নিয়মিত গোসলের পর বা মুখ ধুয়ে দাড়ি আঁচরান ছোট চিরুনি দিয়ে। এতে দাড়ি সমান থাকবে।
* নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাওয়া-দাওয়া করুন। খাবার তালিকায় রাখুন প্রচুর ফল ও শাক-সবজি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পেলে দাড়ির পরিমাণ বাড়ে।
* তবে, বিয়ার্ড অয়েল ব্যবহার করলেই যে দাড়ি বাড়তে শুরু করবে, বাজারে অনেক সংস্থার বিয়ার্ড অয়েল পাওয়া যায়। এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। বিয়ার্ড অয়েলের ফলে দাড়ি ময়েশ্চারাইজ হবে। কিন্তু এই তেলের প্রভাবে গালে নতুন চুল হঠাৎ গজাতে শুরু করবে না।
* প্রথমেই মাথায় রাখুন। সুন্দর ঘন দাড়ি অনেক ক্ষেত্রেই জিনের উপরে নির্ভর করে। তাই বেশি দাড়ি উঠলে তবেই দাড়ি বড় করার কথা ভাবুন। হালকা দাড়ি উঠলে দাড়ি ট্রিম করে ছোট রাখাই ভাল।
* দাড়ি রাখলে কিন্তু দাড়ির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত শ্যাম্পু করুন দাড়িতে। বিয়ার্ড ওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন।