বিজ্ঞাপনী সংস্থার ভেতরে কর্মচারীকে হত্যা

বিজ্ঞাপনী সংস্থার ভেতরে কর্মচারীকে হত্যারাজধানীর গুলশান ১ নম্বর সেকশনের নিকেতন এলাকার একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার ভেতরে এক কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম রেজাউল হোসেন ওরফে শাকিল (১৮)। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ওই প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে শাকিলের লাশ উদ্ধার করেছে।

এর আগে বিকেল পর্যন্ত রেজাউলের মোবাইলে থেকে কয়েক দফায় দু লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।

গুলশান থানার পুলিশ বলেছে, গুলশান ১ নম্বর নিকেতনের বি ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের ছয়তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার পিয়ন রেজাউল প্রতিষ্ঠানের ভেতরে থাকতেন। প্রতিষ্ঠানের সব চাবি তার কাছে থাকত। তার বাবা নুরন্নবী নিকেতন এলাকার আরেকটি বিজ্ঞাপনী নির্মাতা সংস্থায় চাকরি করেন। তিনি পৃথক স্থানে থাকেন। গত সোমবার রাতে রেজাউলের প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকসহ অন্য কর্মীরা কর্মস্থল থেকে বাসায় চলে যান।

রেজাউলের বাবার সহকর্মী মোশাররফ হোসেন মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সকালে রেজাউল হোসেনের মোবাইল থেকে তার বাবার কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে কয়েক দফা আলোচনায় সেই টাকার পরিমাণ এক লাখে নামে। রেজাউলের বাবা বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে জানান। এরপর রেজাউলের ও তার পরিচালক গুলশান থানায় পুলিশকে ঘটনাটি বলেন।

গুলশান থানার পুলিশ বলেছে, বিষয়টি থানা জানার পর কৌশল অবলম্বন করে তার বাবাকে দিয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য নিকেতনের রেজাউলদের অফিসের কাছের একটি পার্কে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয় অপর প্রান্ত থেকে। মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে ধরার পরিকল্পনা থেকে পুলিশ সদস্যরা সকাল থেকেই ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থার অফিসের আশপাশে অবস্থান নিয়ে থাকেন। এ জন্য অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যেতে বারণ করা হয়। দুই-তিন বার টাকার জন্য সময় ও স্থান নির্ধারণ করার পরেও কেউ টাকা নিতে না আসায় না আসায় পুলিশ সন্ধ্যার পর মিস্ত্রি দিয়ে চাবি বানিয়ে অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। পরে স্টোর রুমের দরজা ভেঙে মেঝেতে রেজাউলের লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রাত ১০ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এসএম মোস্তাক আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, রেজাউলকে হত্যা করার পর খুনিরা অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেছে।

Leave a Reply

Translate »