আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ মাছের তেলে ক্ষতিকারক দিকগুলো কম থাকায় যারা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের যখন সব তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হয় তখন মাছের তেলই তাদের ভরসা। এছাড়া চুলের স্বাস্থ্য এবং ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এমনকি নানান ধরণের রোগবালাই থেকে রক্ষা করে মাছের তেল।
যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা মাছের তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন এবং সেই মতো চলেন। কেননা মাছের তেলে যেমন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা আছে তেমন এই তেল রোগবালাইও দূর করে।
১. সুস্থ্য হার্টের জন্য: হার্ট কে সুস্থ্য রাখতে খাদ্য তালিকায় মাছের তেল থাকতে হবে। মাছের তেলে ওমেগা-৩ থাকে যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টরল বাড়ায়। ফলে স্ট্রোকের মাত্রা ও ঝুঁকি কমে যায়।
২. স্লিম হতে: অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাছ হাইপারটেনশন কমিয়ে দেয় এবং মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
৩. এ্যাজমা প্রতিরোধে: যারা সিভিয়ার হাঁপানি (এ্যাজমা) রোগে ভুগছেন তাদের উচিত নিয়মিত মাছ খাওয়া।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে: মাছের তেলে ওমেগা-৩ থাকে যা স্তন, ক্লোন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সারের জন্য সাধারণ কোষগুলোর যে ধরণের বৃদ্ধি হয় তা প্রতিরোধ করে ওমেগা-৩।
৫. উজ্জল চুল ও ত্বকের যত্নে: মাছের তেল নিয়মিত খাদ্য তালিকায় থাকলে আপনার চুলে আলাদা উজ্জলতা ফিরিয়ে আনবে। এমনকি চুল ঝরা রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং চুল হয় ঝকঝকে সুন্দর। এছাড়া যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য সুখবর হলো মাছের তেল ত্বক কে করে ঝকঝকে উজ্জল এবং দীপ্তিময়। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন ধরণের রোগ যেমন, চুলকানি, ত্বকের লালচে ভাব, ত্বকের ক্ষত, ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়িসহ নানান ধরণের রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মাছের তেল।
সুখকর মাতৃত্বে: মাছের তেল মায়ের গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক এবং চোখের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া শিশুর অকাল জন্ম, গর্ভপাত এবং জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হওয়া থেকে রক্ষা করে মাছের তেল।
তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাছের তেলের বিকল্প নেই। এজন্য যারা মাছ দেখলে এখনও নাক সিটকে থাকেন তাদের ওটা কমাতে হবে। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মাছ থাকতে হবে। শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের সবাই যাতে নিয়মিত মাছ খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।