আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভিক্ষা করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। যারা অপ্রয়োজনে ভিক্ষা করে, তাদের শাস্তি ও পরিণতির কথা বর্ণনা করেছেন। যারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে, তাদের জন্য রাসূল (সা.) একটি পুরস্কারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে নিশ্চয়তা দেবে যে সে অন্যের কাছে কিছু চাইবে না, তাহলে আমি তার জান্নাতের জিম্মাদার হব’। (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (অকারণে) ভিক্ষা করতে থাকে, বিচার দিবসে তার চেহারায় কোনো মাংস থাকবে না’। (বুখারি ও মুসলিম)
আরও পড়ুন ঃআল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া
সামুরা ইবনু জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘অন্য কারো কাছে হাত পাতা ক্ষতের সমতুল্য (হীন ও শ্রান্তিকর)। সাহায্যপ্রার্থী নিজের মুখমণ্ডলকে এর দ্বারা ক্ষতবিক্ষত (লাঞ্ছিত) করে। অবশ্য শাসকের কাছে কোনো কিছু চাওয়া বা যে লোকের হাত পাতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই, তার কথা ভিন্ন’। (তিরমিজি)।
হজরত জুবাইর ইবনে আওয়াম (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ রশি নিয়ে লাকড়ির আঁটি বেঁধে তা বিক্রি করে, এতে আল্লাহ তাআলা তার সম্মান রক্ষা করেন। এটা তার জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষা করার চেয়ে উত্তম…’। (বুখারি)
এ ছাড়া ভিক্ষা করার কারণে তিনটি হারাম কাজ সংঘটিত হয়।
এক. আল্লাহর প্রতি অভিযোগ।
দুই. ভিক্ষুক ভিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে অপমানিত করে।
তিন. ভিক্ষার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিকে কষ্ট দেওয়া হয়। (ইহয়াউ উলুমিদ্দিন, ইমাম গাজ্জালি)