বিয়ে ভাঙা দ্বন্দ্বে ভাতিজার হাতে নিহত চাচা

আপন ভাতিজার বিয়ে ভাঙা দ্বন্দ্বে ভাতিজার হাতে চাচা নিহত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে পাবনা বেড়া পৌর এলাকার বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে রোববার (২২ আগস্ট) রাত নয়টার দিকে। নিহত হাতিম উদ্দিনের বয়স ৫৮ বছর।

সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেড়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের বাতেন প্রামাণিকের ছেলে সজিবের বিয়ে ঠিক হয়। পরে হঠাৎ কনেপক্ষ থেকে নিষেধ করে দেওয়া হয়। এতে তার আপন চাচা মৃত হাতিমের ইন্ধন আছে বলে তার ভাতিজার সন্দেহ হয়।

এ নিয়ে রোববার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারা পারিবারিকভাবে বাড়িতেই একটি ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। এ সময় বর সজিব উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু তার দুই ভাই সুরুজ আলী (৩৪) সাকিলসহ (৩২) পরিবারের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার এক পর্যায়ে হাতিম উদ্দিন এ বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য দোষারোপ করা হয়। কিন্তু তিনি অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সাকিল ও সুরুজ ক্ষিপ্ত হয়ে চাচার ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। ওই রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার দুপুরের দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুরুজ ও সাকিলকে বেড়া মডেল থানা পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরের দুই ভাই সাকিল ও সুরুজকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Translate »