আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃনেককার স্ত্রী পাওয়া, কিংবা না-পাওয়া দুটোই তাকদিরের বিষয়। আল্লাহ যা সেটাপ করে রাখছেন, সেটাই হবে। পুরো দুনিয়া মিলেও এই সিদ্ধান্ত পালটে দিতে পারবে না। অনেকসময় দেখা যায়, বিয়ের আসর থেকেও বিয়ে ভেঙে যায়। তাই বিয়ে ঠিক হলেই যে কেল্লাফতে, এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। কেবল আল্লাহ চাইলেই হবে। আল্লাহ চাইলেই আমরা নেককার স্ত্রী পাব। অন্যথায় কিছুই হবে না। এটা হলো প্রথম কথা।
দ্বিতীয় কথা হলো, আমাদেরকে দুআ করে যেতে হবে। স্ত্রী যদি বদকার হয়, তবে একজন দ্বীনদার স্বামীর জন্যে এটা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পাশ করা খুব কঠিন। সে জন্যে দুআর বিকল্প নেই। বিয়ের আগে দিনরাত দুআ করুন। ফরজ নামাজ শেষে, সূর্য ডোবার আগে, ইকামতের আগে, শেষরাতে ইত্যাদি মুহূর্তগুলো অবহেলায় কাটিয়ে দিবেন না। প্রয়োজন আপনার। আপনাকেই সতর্ক হতে হবে। একমাত্র আল্লাহর ফয়সালার ওপরই নির্ভর করছে সবকিছু৷ তাই তাঁর ওখানে ধর্না দিন বারবার। তাঁকে মনের কথা খুলে বলুন। তিনি সবই জানেন৷ এরপরও তিনি চান যে, আমরা যেন তাঁর কাছে দুআ করি। নিজের মনের কথা খুলে বলি। এতে তিনি খুশি হন। আর না চাইলে বেজার হন। তাই তাঁর দরবারে পড়ে থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিয়ের কথা ওঠার সাথে সাথেই এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে৷
বিসিএস পাওয়ার জন্যে কত মানুষ কত সেক্রিফাইজ করে। দিনরাত পড়াশোনা করে। নিজের সুখ কুরবান করে দেয় এই চাকরির পেছনে। জীবনটা তামাতামা করে ফেলে। একজন দ্বীনদার স্ত্রী কি বিসিএস-এর চেয়েও দামি নয়?
অবশ্যই। নেককার স্ত্রী হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই সম্পদ কি বিনা পরিশ্রমে অর্জন করে নিতে চান?
পরিশ্রম করুন। অবশ্য হাড়ভাঙা খাটুনির দরকার নেই। জাস্ট, ইবাদতের মাত্রাটা বাড়িয়ে দিতে হবে। আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে হবে নিয়মিত। সময় পেলেই গোপনে কেঁদে উঠবেন হাত উঠিয়ে। ফকিরের মতো মহান প্রভুর কাছে ভিক্ষা চাইবেন। নাছোড়বান্দা শিশুর মতো চাইতেই থাকবেন। আপনি চাইতে চাইতে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু যেই সত্তার কাছে চাচ্ছেন, তিনি কখনো দিতে দিতে ক্লান্ত হন না। সুবহানাল্লাহ। তাঁর দয়া অসীম। সেই অসীম দয়ার মুখাপেক্ষী আমি, আপনি। তাই চাইতেই থাকুন। হাল ছেড়ে দেবেন না৷
আপনি যেমনটা ধারণা করবেন, আল্লাহকে ঠিক তেমন হিসেবেই পাবেন। তাই দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর ওপর। আর দুআ চালিয়ে যান। আল্লাহ হয়তো আপনার দিকে রহমত ঢেলে দেবেন। সেই আশায় বুক বাঁধুন। একটা দুআ আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি। এটা নিয়মিত পড়বেন। এই দুআটা স্বয়ং আল্লাহ আমাদের শিখিয়েছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এর গুরুত্ব কতখানি।
رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا
“হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকিদের ইমাম বানিয়ে দিন।” (সূরা ফুরকান : ২৫/৭৪)