আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বারো মাসে তেরো পার্বণের আমাদের এই দেশ। এখানে বছরের অধিকাংশ সময়ে উৎসব আনন্দ লেগেই থাকে। অঞ্চলভেদে একেক সময়ে একেক ধরনের উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। এসব উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এককাতারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। যে কারণে উৎসবগুলো সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আর প্রতিটি উৎসবের সাথে মিশে আছে বাংলা সংস্কৃতির শেকড়ের গল্প।
হাজার বছরের সংস্কৃতির ঐতিহ্যে রকমারি খাবারেও বাঙালিয়ানায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায় এখানে। আমাদের দেশের গ্রামীণ মেলা, পৌষ সংক্রান্তি উৎসব, বৈশাখী মেলা, সোনারগাঁয়ের কারুশিল্প মেলা, ঈদ উৎসব, দুর্গোৎসবে ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু সুস্বাদু খাবারের দেখা মেলে খাবারের জন্যই মূলত মেলাগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠে সব বয়সের মানুষের কাছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের নজর কাড়ে নানা স্বাদে রসনার।
এক সময়ে এগুলো পুরোপুরি হাতের সাহায্যে তৈরি হলেও বেশ কিছু আইটেমের খাবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিনে প্রস্তুত হয়ে থাকে বলে খাবারের গুণগতমান আগের চেয়ে ভালো হওয়ায় ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে কিনছেন। রাজধানীর অভয় দাস লেনের বিক্রেতা মো. আলম জানান, হরেকরকম খাবারের পসরা সাজিয়ে আমরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে বিক্রি করে থাকি। এছাড়া বছরের নিদিষ্ট সময়ে যে মেলাগুলো হয় সেখানে আমরা অংশ নেই। মেলায় দর্শনার্থীরা ঘর গৃহস্থালির জিনিসের সাথে খাবারগুলো কেনে, যা ঐতিহ্যের একটি অংশ।
দিন দিন এসব খাবারের ক্রেতা বাড়ছে। শখের বশে খাবারগুলো একবার কেনার পর দেখা যাচ্ছে পুনরায় তারা আসছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলিতে রাজধানীর শাহবাগ, টিএসসি, বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বরের রাস্তার সামনে অবস্থান করে বিক্রি করে থাকে। সারদীয় দুর্গোৎস উপলক্ষে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের সামনে বিক্রেতা দেশীয় নানা স্বাদের খাবারের পসরা সাজিয়েছিলেন। দোকানগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপড়েপড়া ভিড় চোখে পড়ে। বিক্রেতারা জানান, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই এ মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। মেলাগুলোতে ছোট বড় সবাই ভিড় করেন। আবার অনেকেই মেলা থেকে খাবারগুলো সংগ্রহ করে আত্মীয়স্বজনের জন্য দিয়ে থাকেন।