আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ভ্রমন প্রিয় মানুষদের ভ্রমণ না করলে যেন পেটে ভাত হজম হতে চাইনা ।বৃষ্টি যেন ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের ভ্রমন থেকে বিরত না রাখতে পারে তাই আজকে আমাদের বর্ষায় ভ্রমন করতে পারবেন এমন কয়েকটি জায়গা নিয়ে আলোচনা ।
আরও পড়ুন ঃচোখের ব্যথা থেকে বাঁচতে করণীয়
টাঙ্গুয়ার হাওর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও ধরমপাশা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর। হাওরের ভেতরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে অনেক নদী, খাল ও নালা। বর্ষায় সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। জলের ওপর মাথা তুলে ভেসে থাকে শুধু হিজল-করচগাছ। তখন দেখা যায় পাখির ওড়াউড়ি, অনতিদূরে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়। হাওর ও মেঘ-পাহাড়ের এমন রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রতিবছর বর্ষায় হাজারো পর্যটক ঘুরতে যান টাঙ্গুয়া। এবার বর্ষার ভ্রমণ পরিকল্পনায় আপনিও রাখতে পারেন টাঙ্গুয়ার হাওর।
সাজেক
বর্ষায় পাহাড়ি প্রকৃতি সবুজ হয়ে ওঠে। পাহাড়ের সবুজে ডানা মেলে সাদা-কালো মেঘ। সবুজের বেষ্টনীতে কেবলই বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা! ভোরে বৃষ্টি হলে মেঘ ঢুকে পড়ে শোবার ঘর পর্যন্ত। সাজেকের মেঘ কখনো ধরা দেয় সমুদ্রের রূপে। সবুজ উপত্যকা, অপার্থিব সূর্যোদয়, জোছনায় ছড়িয়ে পড়া মেঘের দল, আকাশের মেঘের অনেক রং মিলিয়ে সাজেক যেন অন্য এক জনপদ। এক জাদুকরি প্রকৃতির রহস্যঘেরা উপত্যকা। সারা দেশে পর্যটকদের পছন্দের নামও সাজেক। পাহাড়ি এই উপত্যকা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায়। যাতায়াত করতে হয় খাগড়াছড়ি শহর হয়ে। বর্ষায় সাজেকের শোভা দেখার পরিকল্পনা আঁটতেই পারেন।
জলপ্রপাত
বর্ষায় প্রতিটি জলপ্রপাত প্রাণ ফিরে পায়, বিপুল জলপতনের আনন্দে হয়ে ওঠে উচ্ছল। এই বর্ষায় কোনো জলপ্রপাত দর্শনের পরিকল্পনা আপনিও করতে পারেন। শীতল হতে যেতে পারেন পাহাড়ের মাথা থেকে গড়িয়ে পড়া জলধারার নিচে। তবে একটা কথা মনে করিয়ে দিই, বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা এখনো জারি আছে। এই তিন উপজেলায় বেশ কিছু বুনো জলপ্রপাত থাকলেও আপাতত সেসব ভ্রমণতালিকা থেকে বাদ রাখতেই হবে।
শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গল উপজেলা চা-বাগানের জন্য বিখ্যাত। বর্ষায় এই চা–বাগানগুলো হয়ে ওঠে সবুজ গালিচা। চা-বাগানের আশপাশে আবাসনের ব্যবস্থা করে কাটিয়ে দিতে পারেন দিন-দুই। রিসোর্টের রুমে মন না টিকলে ঘুরেও বেড়াতে পারেন। নিজস্ব বাহন বা সিএনজি অটোরিকশায় চক্কর দিতে পারেন কোনো চা-বাগানে, ঐতিহ্যের স্মারক চা জাদুঘরে, শ্রীমঙ্গলের পেটের মধ্যে থাকা প্রতিবেশী কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে।
চলনবিল
ভরা বর্ষায় চলনবিল হয়ে ওঠে জল-থইথই। চলনবিল শুধু একটি বিল নয়, অনেক বিল, খাল ও নদী নিয়ে গড়ে ওঠা জলাভূমি। বিলটি বিস্তৃত নাটোরের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, সিংড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ৬০০টি গ্রাম নিয়ে। বর্ষার অবারিত জলে নৌকায় ভাসতে চলনবিল রাখতে পারেন ভ্রমণতালিকায়।