আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃপশ্চিম তীরের হুয়ারা গ্রামে সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনি এক বন্দুকধারী দুই ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।
অঞ্চলটিতে বর্তমানে ইসরায়েলিরা বসতি স্থাপন করেছে।
এ ঘটনার পর ইসরায়েল সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ও হামলাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। যে স্থানে দুজন ইসরায়েলিকে হত্যা করা হয়েছে সেটি পশ্চিম তীরের নাবলুস অঞ্চল। সেখানে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের বসতি রয়েছে।
আরো পড়ুনঃআইপিএলে আবারো ফিরলেন মালিঙ্গা
ইসরায়েলের মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গাড়ি পরিষ্কার করার একটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ওই বন্দুকধারী হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি চালান। এতে দুজন নিহত হন। তাদের বয়স ৩০ এবং ৬০ বছর। তারা বেসামরিক নাগরিক ও সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
এ হামলার প্রশংসা করেছে সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ১৫ মাস ধরে সংঘাতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাস দমনের নামে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একের পর এক অভিযান ও ফিলিস্তিনিদের সড়কে হামলা চালানোর ঘটনা সেখানে সংঘাতকে উসকানি দিচ্ছে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীরের দখল নেয় ইসরায়েল এবং এরপর থেকে সেখানে একের পর এক বসতি নির্মাণ করে যাচ্ছে তারা। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই বসতি নির্মাণকে অবৈধ বলে বিবেচনা করেছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করছে না ইসরায়েল। তাদের থামাতে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও যথাযথ চাপ প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে পশ্চিম তীরের অর্ধেকের বেশি অংশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। বাকি অংশে ফিলিস্তিনিরা আসলে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছে।