ফাইনালও বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে চ্যাম্পিয়ন কে?

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বৃষ্টিতে খেলা ব্যাহত হতে পারে ফাইনালেও। দেখতে দেখতে একেবারে শেষ ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে এশিয়া কাপ। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এবার বেশিরভাগ ম্যাচেই বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। বোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভ ও জি নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ১৭ সেপ্টেম্বর কলম্বোতে ৯০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। ৯৯ শতাংশ মেঘের আবরণ থাকার আশঙ্কা আছে।

ভারত-শ্রীলঙ্কার ফাইনালের মহারণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়। এর আধ ঘণ্টা আগে অনুষ্ঠিত হবে টস নির্ধারণ। কিন্তু স্থানীয় সময় বিকেলে ৯০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ খেলার মাঝেই বৃষ্টি হবে। যা রাত পর্যন্ত আবহাওয়া পরিবর্তন হবে না। দুপুর ১টা থেকে কলম্বোয় বৃষ্টি শুরু হবে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তা চলবে। সেসময়ে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

ফলে এদিন কোনোভাবেই দুই দল অন্তত ২০ ওভার করে খেলতে না পারে তাহলে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল খেলা গড়াবে রিজার্ভ ডে’তে। এর মানে যেখানে খেলা শেষ হবে, পরের দিন সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সেখান থেকে শুরু হবে খেলা হবে। তবে দুই দিনই বৃষ্টিতে ভেসে গেলে দুই দলকে যুগ্মভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

আরো পড়ুনঃঘোষণা হলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল

ফাইনালের ফলাফলে আবহাওয়া বড় ভূমিকা পালন করবে। সেরা একাদশ বাছতে টসের আগে কতটা বৃষ্টি হয়, তা দেখবে উভয় দল। টসের আগে বৃষ্টি হলে এবং পিচ কভারের নিচে থাকলে পিচের প্রকৃতি পাল্টে যাবে। সেক্ষেত্রে ম্যাচে টস জয়ী দল লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চাইবে। কারণ, বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে রান তাড়া করা কঠিন হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর ক্যান্ডিতে ভারত-পাকিস্তান গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে সুপার ফোরে সবমিলিয়ে ১৬ ওভার খেলা হয়নি। এই রাউন্ডে ভারত-পাকিস্তান মহারণ রিজার্ভ ডে’তে গড়ায়। ফাইনালেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে প্রতি দলকে কমপক্ষে ২০ ওভার করে বল করতে হবে। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ২০২৩ এশিয়া কাপের ফাইনাল বৃষ্টির কারণে ভেসে গেলে রিজার্ভ ডে’তে খেলা হবে। ওই দিনও বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে উভয় দলের মধ্যে ট্রফি ভাগাভাগি হয়ে যাবে।

এর আগেও ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে শিরোপা ভাগাভাগি হয়েছে। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবারও টুর্নামেন্টের অনেক ম্যাচ বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়। ফাইনাল ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি রিজার্ভ ডে’তেও সম্পূর্ণ করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায় খেলা। ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Translate »