আইনিভাবে বিয়ে হলেও, কনে সাজা হয়নি তরুণীর। হঠাৎ করেই তরুণীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রায় পাঁচ বছর জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে হার মানতে হয়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ইয়াং লু নামের তরুণী।
কিন্তু প্রেমিকার মৃত্যুতে ভালোবাসার মৃত্যু ঘটাতে রাজি নন প্রেমিক শু শিনান। সিদ্ধান্ত নেন প্রেমিকার মৃতদেহকে বিয়ের। সেই মতে বিয়েও করেন। স্থানীয় রীতি অনুযায়ী স্ত্রীকে নিয়ে এক ঘরে থাকেন সাত দিন।
সম্প্রতি পূর্ব চিনের ডালিয়াং অঞ্চলে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর দিয়েছে চিনা সংবাদমাধ্যম।
চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই তরুণীর নাম ইয়াং লু। স্তন ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৬ অক্টোবর কোমায় চলে যান। তার এক সপ্তাহ পরই মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর।
চীনের রীতি অনুযায়ী, মৃত্যুর পর সাত দিন স্ত্রীর মরদেহের সঙ্গেই ছিলেন শু শিনান। তার পর শেষকৃত্যের আগে সেই মরদেহকেই বিয়ে করেন তিনি।
ইয়াং লু এবং শু শিনান একে অপেরর সহপাঠী ছিলেন বলে জানা গেছে। ২০০৭ সালে একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন। রেজিস্ট্রির পর ঘটা করে বিয়ের শখ ছিল লু-র।
কিন্তু রেজিস্ট্রির তিন মাস পরই ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। শুরু হয় কেমোথেরাপি। ২০১৭ সালে সাময়িকভাবে সেরেও ওঠেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন পর আবারো ক্যান্সার ফিরে আসে তার শরীরে। সেই থেকে এতদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন লু। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাই বলে স্ত্রী-র কনে সাজার ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাবে, তা মেনে নিতে পারেননি শু শিনান।
সে কারণে, শেষকৃত্যের আগে কফিনবন্দি স্ত্রীকে সাদা গাউন পরিয়ে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলেননি শু শিনান। তবে স্ত্রীর মনের ইচ্ছা পূরণ করতেই তিনি এমন কাজ করেছেন বলে নিকট আত্মীয়দের জানিয়েছেন