আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ তিন দিনের সরকারি ছুটিকে ঘিরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার থেকে সৈকতে হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটেছে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনও পর্যটকদের কমতি নেই। মধু পূর্ণিমার প্রভাবে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ আর ঢেউয়ের গর্জন উপভোগ করছেন হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত থেকে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল ও হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠে। আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে।
আগত পর্যটকরা লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবন, গঙ্গামতির চর ও বৌদ্ধ বিহারসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউবা ঘুরছেন ঘোড়া কিংবা ওয়াটার বাইকে। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তীরের আছড়ে পড়া বড় বড় ঢেউ। বর্তমানে সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আগত পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত ট্যুরিষ্ট পুলিশ। খাবার হোটেল থেকে শুরু করে ঝিনুক মার্কেট সব ভিড় দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রায় দেড়’শ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ফরিদপুর থেকে আগত পর্যটক মিজানুর রহমান খোকন বলেন, আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র স্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এখানে আসলে মন জুড়িয়ে যায়। সমুদ্রের ঢেউ আর ঢেউয়ের গর্জন উপভোগ করেছি। যে অনুভূতি কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ অ্যানিমেলে ভয়ানক রূপে রণবীর
তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় তারা কম সময়ে কোন ঝামেলা ছাড়াই কুয়াকাটা আসতে পেরে খুশি। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক দম্পতি ইয়ামনি-রিয়াদ দম্পতি জানান, তিন ছুটিতে তারা কুয়াকাটা ভ্রমণে এসেছেন। সমুদ্রে গোসলসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। খুব ভালো লেগেছে।
তবে আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিকরা রুম ভাড়ার উপর পর্যটন দিবস উপলক্ষে ৪০-৫০ ভাগ ছাড়ের ঘোষণা দিলেও বাস্তবে হয়েছে তার উল্টোটা। পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড়কে পুঁজি করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা। খাবার হোটেল গুলোতেও অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়েছে।