বেশ পরিচিত এক ফল নাশপাতি। খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এই ফলের অনেক পুষ্টিগুণও আছে। বিশ্বজুড়ে কয়েক ধরনের নাশপাতির চাষ হলেও মূলত এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকাতেই এটি বেশি পাওয়া যায়।
রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে
নাশপাতিতে প্রচুর আয়রন ও কপার থাকে, যা অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভালো ভূমিকা রাখে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংস পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।
হাড়ের সমস্যা দূর করে
অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য উপকারী ফল নাশপাতি। এতে থাকা কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে হাড় মজবুত রাখে।
ব্যথা কমায়
আপনার যদি আথ্রাইটিস বা শরীরের কোনও ব্যথা থাকে, তাহলে নাশপাতি খেলে উপকার পাবেন। এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
ক্যানসার প্রতিরোধ করে
নাশপাতিতে প্রচুর পরিামাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই ফল তাই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট, কোলন ও রেকটাম ক্যানসার দূর করে নাশপাতি। এতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
শিশু জন্মে ত্রুটি দূর করে
নাশপাতিতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড থাকে। আর তাই প্রেগন্যান্ট নারীদের নাশপাতি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এটি নবজাতকের শারীরিক সমস্যা দূর করে।
রোগ প্রতিরোধে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে নাশপাতিতে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকার কারণে এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্লু অথবা ঠাণ্ডাজনিতে রোগে ভুগলে নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক ডাক্তার।