আলোচিত মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়াকে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকতসহ তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জেরা করছেন।
গতকাল সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন শুধু মাত্র বাদী শারমিন শাহরিয়ারের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও ১২ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আদালতের কার্যক্রম মূলতবি ঘোষণা করেন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শারমিন শাহরিয়ারের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করে অপর পাঁচ স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। আগামীকাল ২৫ আগস্ট বুধবারও স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
এদিকে সিনহা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫।
হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামী কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলো, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।