দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞানীরা ভেবে আসছে কিভাবে রোবটকে আরও উন্নত করা যায় কিভাবে তাদের অনুভূতিশীল করা যায়। স্পর্শ করলে কিংবা চিমটি কাটলে বুঝতে পারবে রোবট! মানুষের মতোই স্পর্শের অনুভূতি থাকবে রোবটের। এমনই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছেন মিউনিখের টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গর্ডন চেং ও তার দল। তারা এখন তৈরি করছেন মানবিক রোবট। এই রোবটের থাকছে ১২৬০টি সেল। থাকছে মানবীয় অনুভূতিময় পায়ের পাতা, হাতের তালুও! ব্যবহৃত হচ্ছে ১৩ হাজারের ভিন্নি ধরনের সেন্সর।
এ বিষয়ে গর্ডন চেং জানান, বর্তমানে যেসব রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে স্পর্শের বিষয়ে কোনো অনুভূতি কাজ করে না। স্পর্শের অনুভূতি রোবটকে আরও নিরাপদ করবে। এতে বস্তু, মানুষ ও রোবট নিজের ক্ষতি করা ছাড়াই সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে।
রোবটের মধ্যে থাকবে স্পর্শের অনুভূতি। এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত মাসে কৃত্রিম চামড়া উন্মোচন করা হয় যার মাধ্যমে রোবট স্পর্শের অনুভূতি বুঝতে পারবে এবং শারিরীকভাবে সাড়া দিতে পারবে। এতে মানুষের সঙ্গে রোবটের যোগাযোগও কার্যকরী হবে।
আন্তর্জাতিক রোবট ফেডারেশনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে প্রতি ১০০০ কর্মচারীর মধ্যে ৮৫টি করে রোবট ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে। ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে রোবট সরবরাহের হার ১৪ শতাংশ করে বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
মিউনিখের টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গর্ডন চেং ও তার দল মানবিক রোবট তৈরির বিষয়ে কাজ করছেন ।এ বিষয়ে গর্ডন চেং বলেন,
বর্তমানে যেসব রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে স্পর্শের বিষয়ে কোনো অনুভূতি কাজ করে না। স্পর্শের অনুভূতি রোবটকে আরও নিরাপদ করবে। এতে বস্তু, মানুষ ও রোবট নিজের ক্ষতি করা ছাড়াই সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি। সূত্র: সিএনএন