তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছিলেন  হিগুয়েইন

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ গঞ্জালো হিগুয়েইন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছেন সেই ২০১৩ সালে। এরপর নাপোলি, জুভেন্টাস ঘুরে তিনি এখন ইন্টার মিয়ামিতে। রিয়ালে সাত মৌসুমে তিনবার লিগ জিতেছেন হিগুয়েইন। মাদ্রিদের ক্লাবটিতে কাটানো সে সময় নিয়ে ইএসপিএন ফুটবল ৩৬০-কে নানা কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক এ স্ট্রাইকার।

 

রিয়ালের জার্সিতে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে হিগুয়েইনকে। তাঁর ভাষায় সেটি ‘নির্মম।’ ২০০৭ সালে হিগুয়েইন রিয়ালে আসার দুই বছর পর যোগ দেন করিম বেনজেমা। একই বছর রিয়ালে আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আক্রমণভাগে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েন হিগুয়েইন।

 

রিভার প্লেটে মাত্র তিন মৌসুম খেলেই রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন হিগুয়েইন। অল্প বয়সে রিয়ালের মতো ক্লাবে যোগ দিয়ে প্রত্যাশার চাপ সামলাতে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবুও ২৬৪ ম্যাচে ১২১ গোল করে রিয়ালে নিজেকে ভালোই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি, ‘রিভার প্লেটে মাস ছয়েক খেলে রিয়ালে যোগ দেব-তা কখনো ভাবিনি। কোপা লিবার্তোদোরেস খেলব, অন্তত কয়েক বছর রিভার প্লেটে খেলে তারপর ইউরোপে যাব-এমনটিই ভেবেছিলাম। রিয়ালে টিকে থাকাটা অনেক কঠিন ছিল। আর ১৮ বছর বয়সে বার্নাব্যুতে যাওয়ার চাপও ছিল অনেক। এত দিন পর নিজেকে যখন রিয়ালের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ গোলদাতাদের একজন হিসেবে দেখি তখন ভাবি, ইউরোপে খেলার স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু কখনো এমন ক্যারিয়ার ভাবিনি।

 

২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখেন হিগুয়েইন। অবসর ভেঙে আবারও আর্জেন্টিনা দলে ফেরার ইচ্ছা আছে কি না-এ প্রসঙ্গে হিগুয়েইন বলেন, ‘জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা দেখি না। জাতীয় দল নিয়ে ভাবনা থেকে অনেক দূরে আছি। এখন আমি জীবনের আরেক পর্যায়ে। (ফুটবল) অল্পই অবশিষ্ট আছে। এখন পরিবারই আমার প্রাধান্যের জায়গা। মেয়ের হাসিমুখ  দেখতে সব করতে পারি।

Leave a Reply

Translate »