আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃবাঙালি বাড়ির শেল্ফে কাচের বোতলভর্তি তালমিছরি থাকবেই থাকবে৷ কাচ থেকে বোতল প্লাস্টিকের হয়েছে৷ বাঙালি ‘ভেতো’ থেকে আন্তর্জাতিক হয়েছে৷ তালমিছরির প্রাসঙ্গিকতা কিন্তু কমেনি একচুলও৷
এই প্রজন্মের শিশুরা মিছরির স্বাদ কতটা পেয়েছে, সেটা প্রশ্নের বিষয় ৷ কিন্তু ফাস্টফুড শাসিত প্রজন্মের কাছে তালমিছরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তার আগে জেনে নিই মিছরির প্রস্তুতপ্রণালী ৷
তালগাছের রস থেকে তৈরি হয় এই মিছরি ৷ তালরসকে নির্দিষ্ট সময় ধরে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে জ্বাল দিয়ে, তার পর জমিয়ে মিছরি তৈরি করা হয় ৷ কোনও রাসায়নিক মেশে না বলে একে বলা হয় ‘ন্যাচারাল শুগার’ ৷
চিনির তুলনায় এতে শর্করার পরিমাণও কম ৷ আনপ্রসেসড ফুড বলে তালমিছরি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ৷
আরও পড়ুন ঃকনুই ও হাঁটুর কালচে দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকেই জানেন না মিছরি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতাতেও খুব উপকারী ৷ মিছরিতে থাকা আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে৷
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঈষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় ৷ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামে ভরপুর মিছরি হাড় ও দাঁত মজবুত করে ৷
পেটের গণ্ডগোলের জন্যও দেওয়া হয় মিছরি ৷ কোষ্ঠকাঠিন্য নিবারণেও মিছরি ফলপ্রসূ ৷ তীব্র গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মিছরির পানা খেতে বলা হয় ৷ চটজলদি শরীরকে শীতল করে তালের রস জমানো মিছরি ৷
অনেক বাচ্চাই মাউথ আলসারে কষ্ট পায় ৷ এলাচ আর মিছরি গুঁড়ো করে লাগিয়ে দিন ক্ষতস্থানে ৷ যন্ত্রণা থেকে আরাম পাবে ৷ কমে যাবে আলসারও ৷
আগে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ওষুধ দেওয়ার বদলে খাওয়ানো হত তাল মিছরি ৷ সর্দিকাশি উপশমের পাশাপাশি শ্লেষ্মাকে নরম করে ৷ পুরনো জমে যাওয়া শ্লেষ্মাকে বার করে আনে ৷ তালমিছরির সঙ্গে গোলমরিচ ও ঘি-এর মিশ্রণ গলা খুসখুসানি সারিয়ে দেয় ৷