আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ পর পর দুদিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই সাবেক ক্রিকেটারকে হারিয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। তারা দুজনই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সোনালি প্রজন্মের ক্রিকেটার ছিলেন। অল্প সময়ের ক্যারিয়ার হলেও দুজনেই ক্যারিবিয়ান টিমে ছাপ রাখতে পেরেছিলেন নিজেদের। তাই দুই ক্রিকেটারের মৃত্যুতে শোকাহত ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক্লেসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ৬৬ বছর বয়সী সাবেক অফস্পিনার ক্লাইড বাটস। আর তার পরদিন শনিবার (৯ ডিসেম্বর) মারা যান ৯৩ বছর বয়সী জো সলমন। সলোমন যেমন গত শতাব্দীর ছয়ের দশকের ক্রিকেটার ছিলেন, তেমনই ক্লাইড ছিলেন আটের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের অফস্পিনার।
সলোমন ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন ২৭টা টেস্ট। ৩৪ গড়ে ১৩২৬ রান করেছেমন। একটু দেরিতে ক্রিকেটে এসেছিলেন সলোমন। কিন্তু নিজের জাত চেনাতে সময় নেননি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুত সাফল্য পান। যা নজর কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচকদের। দ্রুত জাতীয় টিমেও জায়গা পেয়ে যান।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টাই টেস্টের জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন সলোমন। দুই ইনিংসে ৬৫ ও ৪৭ করার পাশাপাশি দুরন্ত একটা রান আউট করে টাই করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ। শেষ ওভারে (তখন ৮ বলে ওভার হত) ৬ রান দরকার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হাতে ৩ উইকেট।
জেতার মতো জায়গাতে থাকলেও গাব্বায় যে ইতিহাস তৈরি হবে, কেউই ভাবেনি। কিন্তু রিচি বেনো ও ওয়ালি গ্রাউট রান আউট হয়ে যান। একটা রান নেওয়ার জন্য ক্রিজ ছেড়ে বেরোতেই ইয়ান ম্যাকিফকে রান আউট করে দেন সলোমন।
আটের দশকে আবার ক্লাইডের অফস্পিনার হিসেবে উত্থান। সেই সময় পেস বোলিংয়ের সোনালি যুগ চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু অফস্পিনার হিসেবে এতটাই প্রভাব ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে যে, তাঁকে খেলাতে বাধ্য হয় জাতীয় টিম। মাত্র ৭টা টেস্ট খেলে নিয়েছিলেন ১০টা উইকেট।
বোলার হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদি ছাপ রাখতে না পারলেও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে প্রভাব ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। ক্রিকেটার থেকে ভক্তরা, সবাই খুব ভালো করে চিনতেন ক্লাইড। মিশুকে ছিলেন, আড্ডা দিতে পারতেন সবার সঙ্গে। ২০০০ সালে জাতীয় নির্বাচক ছিলেন। পরের দিকে কমেন্ট্রিও করেছেন।