আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ শ্বশুরবাড়িতে জামাইদের কদর আজকাল একটু বেশিই বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে জামাই কিন্তু ছেলের মতো নয়, ছেলেই। বহু বিষয়ে তাঁরা ভরসা করেন জামাইয়ের উপর। আর তাই শাশুড়ি-বউমায় যতটা ফাটাফাটি হয় জামাই-শাশুড়ির ক্ষেত্রে কিন্তু তা পুরোপুরি উল্টো। ব্যতিক্রম যে থাকে না তা নয়। তবুও জামাই-শাশুড়ি ফাটাফাটি ঝগড়া হয়েছে এমনটাও কিন্তু শোনা যায় না। তবে সব মেয়েই মেয়ের প্রেমিককে চাক্ষুষ না দেখা পর্যন্ত ঠিক আশ্বস্ত হতে পারেন না।
মেয়েরা যখন প্রেম করে তখন, সব মা ভাবে তাঁর মেয়ে মনে হয় বোকা। মা বলে কেমন ছেলের পাল্লায় পড়লি- কিন্তু জামাইকে দেখার পর সেসব অভিযোগ আর বিশেষ থাকে না। এমনকী বিয়েতে বাবা রাজি না হলে মায়ের উপরই সেই ভার বর্তায়, জামাইয়ের সুখ্যাতি করবার জন্য। জামাইষষ্ঠী বলে একটা কথা আছে। আহারে-ফলে জমজমাট করে পালন করা হয় জামাই বরণ। যাঁরা এখনও জামাইয়ের অফিশিয়ল ছাড়পত্র পাননি তাঁদের জন্য এটাই সুযোগ। বিয়ের আগেই মন জয় করে নিন শাশুড়ি মায়ের। তবে তার জন্য আপনাকেও খানিক পরিশ্রম করতে হবে। আর মেয়ের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক একবার জমে গেলে তখন আর পায় কে! হুকুম না করলেও পাতে পড়বে পাঁঠার মাংস, গলদা চিংড়ি, পাতুরি, পোলাও, রসগোল্লা। যাই হোক
শাশুড়ি হল মায়ের মত। তাই শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশুন। মজা করে কথা বলুন। কখনই খুব গুরু গম্ভীর থাকবেন না।
শাশুড়ির সঙ্গে এমন ব্যবহারও করবেন না যাতে তিনি নিজেকে বহিরাগত মনে করেন। অধিক দূরত্বও নয় আবার খুব বেশি মাখোমাখো নয়। ভালোবাসা, শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় রাখুন।
মা-মেয়ের সম্পর্কে জোর করে ঢুকতে যাবেন না। কারণ এই বন্ধন চিরকালীন। আর মেয়ের বিরুদ্ধে মায়ের কাছে বেফাঁস কোনও মন্তব্য করলে পরে কিন্তু আপনাকেই বিপদে পরতে হবে।