আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃএকসময় চুলের যত্ন বলতে চুলে নিয়মিত তেল দেওয়া ছিল ।সব বাড়িতে মা মেয়ে বোনদের জন্য নারিকেল তেল থাকত । অবসর সময়ে চুলে তেল দেওয়াটা ছিল এক সময়ের ঐতিহ্য । সময়ের পরিবর্তনে এখন আর এমনটা দেখা যায় না।
তবে চুলে তেল দেওয়ার চল কমবেশি আছে। এর কৌশলটাও মূলত পারিবারিকভাবে প্রাপ্ত। এর ফলে অনেকেরই হয় ভুল। দেখে নিন তেল দেওয়ায় এই ভুলগুলো আপনিও করেন কি না।
কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। চুলে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য। অথচ আগে বেশির ভাগ মানুষেরই অভ্যাস ছিল চুলে চপচপে করে তেল দেওয়া। তাতে উল্টো ক্ষতি হয়। চুল পড়া ও খুশকি বাড়তে পারে। আবার চুল পরিষ্কার না করে তেল দিলে হতে পারে মাথার ত্বকে ইনফেকশন।
আরও পড়ুন ঃ রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার
তেলকেই সাধারণভাবে সবচেয়ে ভালো বলা হয়, এতে আছে পর্যাপ্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ফ্যাট। মাথায় মেখে রেখে দিতে পারেন ২ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। রাতে মেখে ঘুমিয়ে সকালে উঠে ধুয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া চুল ও মাথার ত্বকের চরিত্রভেদে ব্যবহার করা যেতে পারে অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ও সূর্যমুখীর তেল।
আমাদের মায়েরা তো পারলে প্রতিদিনই চুলে তেল দিতেন। এখনো অনেক মা প্রতিদিন বাচ্চাদের মাথায় তেল মেখে দেন। এটাও কিন্তু ব্যক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হয়। আপনি কয় দিন পরপর তেল দেবেন, তা নির্ভর করবে আপনার চুলের ধরন, টেক্সচার, মাথার ত্বক ইত্যাদির ওপর। যেমন যাঁদের চুল শুষ্ক, তাঁদের ঘন ঘন তেল দিতে হবে। তৈলাক্ত চুলের অধিকারীদের তা দরকার নেই। আবার শীতকালেও চুল ভেঙে যাওয়া রোধে তেল দিতে হবে ঘন ঘন।
তেল দেওয়ার সময় অনেকেই কেবল মাথা ম্যাসাজই করেন। ভালো লাগে বলে অন্যরা সেটা উপভোগও করেন। কিন্তু উচিত হলো কয়েক মিনিট মাথার ত্বকে তেল মেখে চুলে মনোযোগ দেওয়া। খেয়াল রাখতে হবে, যেন পুরো চুলে তেল সমানভাবে দেওয়া হয়। বিশেষ করে চুলের শেষ মাথায়। কারণ, সেখানেই চুল ভাঙে। মাথার ত্বকে তেল মাখার সময় আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে বৃত্ত আঁকুন। তাতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
তেল দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হয়। সে জন্য কোমল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। নইলে চুলের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যেতে পারে। ভালো করে ধুতে হবে যেন প্রয়োগ করা তেল পুরোপুরি ধুয়ে যায়। তারপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল মোটামুটি শুকিয়ে এলে সেরাম ব্যবহার করতে পারেন। তাতে চুল বাইরের ক্ষতিকর ও দূষিত উপাদান থেকে সুরক্ষিত থাকবে।