ঘড়ে যদি অভাব থাকে তাহলে কী বিয়ে থেকে বিরত থাকা উচিত

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দরিদ্রতা বা অর্থাভাব কি বিয়ের প্রতিবন্ধক? শুধু দরিদ্র্যতা ও অর্থের অভাবে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা কি যুক্তিযুক্ত? এমনও তো হতে পারে যে, বিয়ের পর মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে দরিদ্রতাকে সচ্ছলতায় পরিবর্তন করে দেবেন। এ সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনাই বা কী?

 

বিয়ের উদ্দেশ্য যদি হয়, নিজের চরিত্রের হেফাজত করা; তবে এ বিয়ে সম্পাদনের পর মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে সচ্ছলতা দান করবেন। তাছাড়া আল্লাহ তাআলা অনেককেই দ্রুত সাহায্য করে থাকেন। এর মধ্যে প্রথম হলো- যারা পবিত্র থাকার উদ্দেশ্যে বিয়ে করেন। হাদিসে পাকে এসেছে-

 

তিন ব্যক্তি এমন আছে, যাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করে থাকেন। তারা হলো-

১. বিবাহকারী; যে পবিত্র থাকার ইচ্ছা করে।

২. লিখিত চুক্তিবদ্ধ দাস; যে চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং

৩. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী।

 

সুতরাং কেউ যদি চারিত্রিক পবিত্রতার জন্য বিয়ে করে আর যদি সে দরিদ্র বা অভাবি হয় তবে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে ওই ব্যক্তিকে সচ্ছলতা দান করবেন।

 

আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবি হলে (চরিত্র রক্ষার জন্য যদি বিয়ে করে তবে) আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩২)

 

সুতরাং যদি কোনো পুরুষের চরিত্র পছন্দনীয় হয়। চারিত্রিকগুণে মুগ্ধ হয়ে কোনো নারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়; তবে অভিভাবকের উচিত ওই নারীকে বিয়েতে বাধা না দেওয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Translate »