আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই ভারতের দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে সকাল থেকেই দুই রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া। তামিলনাড়ুর মীনামবাক্কামে ১৯৬ মিলিমিটার এবং নুঙ্গামবাক্কামে ১৫৪ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যের চেঙ্গলপাট্টু, কাঞ্চিপুরম, নাগাপট্টিনাম এবং কুড্ডালো ও তিরুভাল্লুর জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, চেন্নাইয়ের বেশিরভাগ অংশ প্লাবিত। শহরটির ইস্ট কোস্টাল রোডের কানাথুর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন দেওয়াল ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের তামিলনাড়ুর চেন্নাইসহ একাধিক জায়গায় একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। প্লাবিত চেন্নাই বিমানবন্দরের রানওয়ে। ফলে বাতিল করা হয়েছে একাধিক ফ্লাইট। অন্তত ২০টি ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মাছলিপত্তনমের মাঝামাঝি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আঘাত হানবে। পরিস্থিতির বিবেচনায় তামিলনাড়ু সরকার সোমবার পুদুচেরি, কারাইকাল এবং ইয়ানাম অঞ্চলের স্কুল ও কজেল ছুটি ঘোষণা করেছে। বেসরকারি প্রতিস্ঠানের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেনসহ রাজ্যের শতাধিক ট্রেন বাতিল করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি সাবওয়ে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশার জেলেদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
চেন্নাই শহর ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেছেন এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম মোকাবিলায় রাজ্য প্রস্তুত। মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। জনসাধারণকেও প্রদত্ত সুরক্ষা প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। ঝড়ের প্রভাব কম না হওয়া পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।