কোরবানি ঈদের সার্থকতা আসবে যে ভাবে

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ পশু উৎসর্গ করার রীতি অনেক ধর্মেই আছে, আছে মোটামুটি সব সমাজেই। তবে ঈদুল আজহার আগে এই পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বেই পরিবার- পরিজন নিয়ে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে ঈদের ভোজের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে, তা এক অতুলনীয় সর্বজনীন ব্যাপার।

 

ঈদ উপলক্ষে গরুর বা খাসির মাংসের বহু রকম স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় সব পদের চল হয়েছে দেশের সব অঞ্চলেই। কোরবানির পরেই সক্কাল সক্কাল বেশ ঝাল ঝাল করে মাংস, কলিজা, গুর্দা-সব মিলিয়ে চড়িয়ে দেওয়া হয় মোটামুটি সব বাড়িতেই। আবার পেঁপে বাটা মাখিয়ে মাংসের রোয়া নরম করে চটজলদি কাবাবও বানিয়ে নেওয়া হয়। মাত্র চুলা থেকে নামানো মাংসের মাখা ঝোলে চুবিয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী, চট্টগ্রাম,  কুমিল্লাসহ বহু অঞ্চলে খাওয়া হয় চালের আটার ধবধবে নরম রুটি। আবার এদিকে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলে ঈদের প্রথম মাংস সাদাভাত বা পোলাও দিয়ে খাওয়ার প্রচলন আছে।

মাংস রান্না

 

পৃথিবীর সব দেশেই ঈদুল আজহার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কোরবানির মাংস ঘিরেই। আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এই ঈদকে ঈদ আল লাহম বা মাংসের ঈদ বলা হয়ে থাকে। কাবসা, মান্দি ইত্যাদি বিরিয়ানি ধরনের পদের পাশাপাশি মানসাফ আল ঈদ বা ঈদ এর মাংস দিয়ে রান্না দই দেওয়া কোর্মা আর আস্ত ভেড়া গ্রিল করে বানানো মেশউয়ি নামের ডিশ খেয়ে থাকে সবাই সেখানে এই দিনে।

 

এই মরক্কোর ঈদুল আজহা মানেই আবার ল্যাম্ব তাজিন। ওপরে ফুটোযুক্ত উঁচু ঢাকনা দেওয়া বিশেষ পাত্রে লম্বা সময় ধরে ঢিমে আঁচে বানানো তাজিনে শুকনা অ্যাপ্রিকট, আমন্ড বাদাম আর জাফরান দেওয়া হয়।

 

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামার থেকে অনলাইনে পশু কেনা এমনকি কোরবানির মাংস পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে এ বছর৷ সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে কোরবানির মাংস আমাদের তরফ থেকে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয়ে অনুদান নিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য সংস্থা। সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী যদি কোরবানি দেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই থাকে, তবে একজন সুনাগরিক হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আর অভাবী ও অসুস্থ, বিপর্যস্ত মানুষের ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিতে পারলে তবেই কোরবানির ঈদের সার্থকতা আসবে আমাদের জীবনে।

Leave a Reply

Translate »