আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ২০০১ সালে ‘আজনবি’ ছবি দিয়ে বলিউড সিনেমায় অভিষেক ঘটে বিপাশা বসুর। শুরুতেই ‘শ্যামবর্ণা সুন্দরী’র তকমা পেয়ে যান দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া বিপাশা। দেখতে দেখতে ২০ বছর পূর্ণ করলো বলিউড পাড়ায়। সেই উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানালেন এতদিন চেপে রাখা নানান বিষয়।
জানালেন, একটা সময় ছিল যখন তাকে সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরেও যেতে দেওয়া হতো না। এতে নাকি তিনি আরও কালো হয়ে যাবেন! তাকে এমন কিছু সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে, যেখানে তাকে নিয়মিত পোশাক নিয়েও কথা শুনতে হয়েছিল।
বোহেমিয়ান থেকে আবেদনময়ী, গায়ের রঙ নিয়ে অহেতুক পরামর্শ– বলিউডে ঢোকার পর নানাভাবেই হেনস্থার শিকার হয়েছেন বিপাশা। দুই দশকে কখনও তেমন একটা অভিযোগ করতে দেখা যায়নি শ্যামবর্ণা সুন্দরীকে।
“এটা তখনকার কথা, যখন আমি আমার প্রথম হেয়ার–স্টাইলিস্ট কৌশলের সঙ্গে দেখা করি। সেও আমাকে নায়িকা হওয়ার ‘নিয়ম’ শিখিয়েছিল। সে বলল, জনসম্মুখে না গিয়ে আমি যেন আড়ালে থাকি। কিন্তু বিপাশা তা না করে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতে শুরু করেন। এ কারণে পান বোহেমিয়ান উপাধি।
বিপাশা জানান‘আমার করা চরিত্রগুলোও আমার মতো সাহসী, আবেদনময়ী এবং স্পষ্টভাষী ছিল।
বিপাশা আরও জানান, অভিনেতা করন সিং গ্রোভারকে বিয়ে করার আগে শুটিং স্পটে তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন যে তার প্রেমিক সেটে আসছে। এটাও সবাইকে বেশ বিচলিত করেছিল। কারণ তাদের মনে হয়েছিল এটা যেন একটা নিষিদ্ধ ব্যাপার। ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন আপনি আপনার প্রেমিকের কথা বলছেন? এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি বললাম আমি আমার প্রেমিকের জন্য লজ্জিত নই। তাকে আড়াল করারও দরকার দেখি না।’ বললেন বিপাশা।
বলিউডে ২০ বছর পূর্ণ করার পর, বিপাশা তার প্রথম পরিচালক আব্বাস মাস্তানকে ধন্যবাদ দেন। এটাও জানালেন, শিগগিরই পর্দায় আবার তাকে দেখা যাবে।