আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ লিটন দাস । বিশ্বে বর্তমানে ভিরাট কোহলি,বাবর আজমদের সাথে ক্লাসিক ব্যাটসম্যান হিসেবে তার নামটি উচ্চারিত হয়। কারো কাছে তার খেলার স্টাইলকে ক্রিকেট শিল্প হিসেবে রচনা করা হয়।
কিন্তু শিল্পীর ব্যাট ক্রিকেটের দর্শকদের হতাশ করে যাচ্ছে বহুদিন ধরে। হতাশার হিসেব কসতে যাওয়া যাক শেষ দশ ইনিংসেই । লিটন কুমার দাস শেষ ১০ ইনিংসে রান করেছেন ২৬,১৩,৫৩*,১৬,১৫,০,৬,১৩,৭৬,০ । মোট ২১৮,এভারেজ ২১.৮ ।
আর ২০২৩ সালে ২০ টি ম্যাচ খেলে মোট সংগ্রহ ৪২৭ রান। গড় ২৫.১১ । অথচ ২০২২ সালেও গড় রেখেছিলেন এর দ্বিগুণের বেশি। ৫২.৪৫। তাহলে ২০২৩ সালে হঠাৎ করে লিটন দাসের কি হলো?
আরো পড়ুনঃইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত হিজবুল্লাহ
লিটন দাসকে প্রায় সময়ই দেখা যায় ভুল শট খেলে আউট হতে। শট সিলেকশনে দেখা যায় আত্মবিশ্বাসের অভাব । অথচ ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন আজ ৮ বছর ধরে। খেলেছেন ৮০টি ম্যাচ।
২০২১ সালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বিন মর্তুজা , নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন লিটন আত্মবিশ্বাসহীনতা ও মানসিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে । আর ২০২৩ সালে এসেও তারই প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে ভারতের মাঠে।
অভিজ্ঞ নাজমুল আবেদীন ফাহিম আরো বলেছিলেন, লিটন দাস বেসিক থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। নতুন কিছু করার চেষ্টায় মত্ত থেকেছেন তিনি । আর তারই প্রতিফলন ভালো হয়নি লিটন দাসের ক্ষেত্রে। বেসিক হারিয়ে বসেছেন তিনি।
আধুনিক যুগে একজন পেশাদার খেলোয়াড়কে অবশ্যই নতুন নতুন টেকনিক আয়ত্ব করতে হয়। নয়তো থেকে যেতে হয় সকলের পেছনের কাতারে। নতুন কিছুর চেষ্টায় সফল হলে খেলোয়াড় যেমন বাহবা পায় তেমনি ব্যর্থ হলে খেলোয়াড়ের সাথে ঘটে ঠিক তার উল্টো। লিটন দাসের সাথেও তাই হয়েছে । খেলার মাঠে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর সহ্য করতে হয়েছে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার কট্টোর সমালোচনা।
এমতাবস্থায় মানসিক ভারসাম্য ও আত্মবিশ্বাস কি আরো হারিয়ে বসেছেন লিটন দাস? সাম্প্রতিককালে সাংবাদিকদের সাথে তার আঁতাত মোটেও মধুর নয় তা সকলেই দেখতে পাচ্ছে। লিটন দাস মানসিক চাপ নিতে পারেন না বলেই সাংবাদিকদের সাথে অপেশাদার আচরণ করেন বলে অনেকের ধারণা। আর মাঠের বাইরেই যার মানসিক ভারসাম্য থাকে না তিনি মাঠের ভেতরে হাজার হাজার দর্শকদের সামনে,কঠোর প্রতিপক্ষের সামনে কিভাবে মানসিক ভারসাম্য রেখে উৎফুল্ল ছন্দে সঠিক বলে সঠিক শট খেলতে পারবেন তা প্রশ্ন থেকে যায়।
আরো প্রশ্ন থেকে যায় লিটন দাসের মতো একজন উজ্জ্বল প্রতিভার খেলোয়াড়ের মানসিক ভারসাম্য ও আত্মবিশ্বাস রক্ষার্থে কোচিং স্টাফ ও টেকনিক্যাল টিম কি অবদান রাখছে?