আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে স্ট্রেস। আর এর থেকেই অকাল বার্ধক্য। গাল, চোখ বসে যাওয়া, ত্বক পাতলা হয়ে ঝুলে যাওয়া, শীত ছাড়াও ত্বকে শুস্ক ভাব, ত্বকে নানারকম দাগ, সেই সাথে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ও চুলের সৌন্দর্য অটুট রাখতে সর্বপ্রথম স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে। আপনি টেনশন করলে, সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না করলে, পর্যাপ্ত ঘুম ঠিকমতো না হলে আপনার ত্বক অনুজ্জ্বল হবেই এবং সেই সাথে চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যাবে।
স্ট্রেস ফ্রি জীবনই আপনার এ সমস্যা সমাধানে একমাত্র চাবিকাঠি। আপনার ত্বকের সৌন্দর্য মূলমন্ত্র মনের ভালোমন্দের ওপর নির্ভর করে। আপনার মন ভালো থাকলে হাশিখুশি থাকলে পর্যাপ্ত ঘুম এবং প্রয়োজন মতো শরীরচর্চার সাথে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া এবং প্রতিদিনকার নিয়মিত ত্বকচর্চা আপনার ত্বক ভালো রাখতে ভীষণ জরুরি। ত্বকচর্চার প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো পরিষ্কার থাকা।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাইরে বের হওয়ার আগে ও পরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মাইন্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
যাদের তৈলাক্ত ত্বক বাইরে থেকে ফিরে এসে হালকা মুখ ধুয়ে ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা গোলাপ জল দিয়ে টোনিং করে নিবেন, তাহলে ব্রন হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। গোলাপ জল না থাকলে বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন দু’মিনিট পুরো মুখ।
এরপর ভালো ব্রান্ডের ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। কিন্তু দিনের বেলা বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সান্স ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না। এখন তো অনেক ভালো ভালো ব্র্যান্ডের সান্স ক্রিম পাওয় যায়। যা লাগালে আপনার ঘামও কম হবে এবং সূর্য থেকেও প্রোটেক্ট থাকবে।
দিন শেষে একটু রিলাক্স করুন। এ সময় গান শোনা, বই পড়া অথবা ভালো লাগার কাজগুলো করুন, তাহলেও আপনি অনেক বেশি রিলাক্স হবেন। এতে আপনার ত্বক থাকবে সুরক্ষিত ও উজ্জ্বল।
আর চুলের জন্য সপ্তাহে দুই দিন অয়েল ম্যাসাজ করতে ভুল করবেন না। অয়েলের মধ্যে সব থেকে ভালো কোম্পানির অর্গান অয়েল আপনার চুলের রুক্ষতা কমানোর পাশাপাশি চুল পড়াও কমাবে। আর সেইসাথে একটা ভালো শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আপনার চুলকে দেবে সফট ও শাইনিং লুক।
সপ্তাহে একদিন ভালোভাবে নিজের ত্বকচর্চা করুন। নিজের চর্চা করতে মাসে একবারও স্কিন অনুযায়ী ফেশিয়াল, ম্যানিকিউর, পেডিকিউর হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে নিলে আপনার ত্বক ও চুলের সব সমস্যা সমাধানের আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে আপনাকে থাকতে হবে স্ট্রেস ফ্রি। তাহলেই সব সৌন্দর্য থাকবে আপনার হাতের মুঠোয়।