আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ লেখকের খাতায় নাম ওঠালেন কারিনা কাপুর। প্রকাশ করলেন জীবনের প্রথম বই। যাকে তিনি নিজেই বলছেন ‘তৃতীয় সন্তান’। গতকাল তাঁর তৃতীয় সন্তান, অর্থাৎ বহু অপেক্ষিত বই ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ পাঠকদের জন্য বাজারে ছাড়লেন। বইয়ে তাঁর দুবার অন্তঃসত্ত্বাকালীন অনুভূতির কথা খোলাখুলি তুলে ধরেছেন কারিনা।
দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় বইটি লিখেছেন তিনি। কাছের বন্ধু তথা চিত্রনির্মাতা করণ জোহরের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এক লাইভ সেশনে বইটি প্রকাশ করেন বেবো। এই সময়ে তিনি তাঁর গর্ভাবস্থা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। এই বলিউড নায়িকা বলেছেন যে প্রথমবার মা হওয়ার সময় তাঁর বেশ ভয় করছিল। নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বাকালে কারিনার মনে কোনো ভয় ছিল না।
এমনকি অন্তঃসত্ত্বাকালে তাঁর যৌনজীবনের কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেননি কারিনা। তিনি এ অনুষ্ঠানে বলেছেন যে এই সময়ে তাঁর যৌনজীবনে অনীহা ছিল। আর কারিনা এ–ও বলেছেন, তাঁর স্বামী সাইফ তাঁকে এই সময়ে কীভাবে সমর্থন করেছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর এই সময়ে গর্ভবতী নারীর পাশে তাঁর স্বামীর সমর্থন খুব জরুরি বলে মনে করেন নবাবপত্নী।
‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইয়ে বেবো অন্তঃসত্ত্বাকালের নানান টক-মিষ্টি অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। কারিনা সব হবু মায়ের উদ্দেশে বলেছেন যে প্রত্যেকের এই সময়ে নিজের হৃদয়ের কথা শোনা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপনি যদি এই সময়ে হাসিখুশি না থাকেন, আপনার শিশু কখনোই হাসিখুশির হবে না।
অন্তঃসত্ত্বাকালে কারিনা নানাভাবে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। র্যাম্পে হেঁটেছেন, ছবির শুটিংসহ আরও নানান কাজ করেছেন। সেসব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে কারিনা বলেছেন, ‘যখন কাজে ব্যস্ত থাকতাম, তখন সবচেয়ে আনন্দে থাকতাম।
এ অবস্থায় প্রত্যেক মেয়ে চায় তার স্বামী তাকে ভালোবাসুক, আনন্দে আর নিরাপদে রাখুক। আর আমি সাইফের থেকে এই সবকিছু পেয়েছি। আমি মনে করি, প্রত্যেক মা ও হবু মায়ের তার স্বামীর কাছ থেকে অফুরান ভালোবাসা আর স্বচ্ছন্দ পাওয়া প্রয়োজন।
প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইয়ে কারিনা অকপটে তাঁর অন্তঃসত্ত্বাকালের নানান মুহূর্ত, অনুভূতি, ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন। কারিনা চান তাঁর এই বইয়ের মাধ্যমে হবু মায়েদের নানানভাবে সাহায্য করতে।