আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তাহমিন ওসমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২ সেপ্টেম্বর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওরিয়েন্টেশন শেষে ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কিছু শিক্ষার্থীরা তাহমিনকে জিমনেসিয়ামের পিছনে নিয়ে র্যাগিং করে। এ সময় তাকে হাত-পা সোজা করে পরিচয় দিতে বলা হয়। সঙ্গে গালিগালাজ ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়।
এ ছাড়াও ওই দিন সন্ধ্যায় তাহমিনকে সাদ্দাম হোসেন হলের বিপরীতে নিয়ে বসিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রেখে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর ফের তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে তাহমিন।
আরো পড়ুনঃবাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন মুরালি
সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইবি জিমনেসিয়ামের পাশে নিয়ে তাকে আবারও র্যাগ দেওয়া হয়। র্যাগিংয়ের পর থেকে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ ঘটনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানিয়ে অভিযোগপত্রে, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর ইমন, আকিব, শুভ, পুলক ও সাকিবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ইবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও সদস্য হিসেবে ছাত্র উপদেষ্টা, আইন প্রশাসক, সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগী ও সদস্য সচিব হিসেবে আলীবদ্দীন খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের ভিতরে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে একজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ফুলপরী নামের নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।