আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ এহতেশাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রূপালি পর্দায় আগমন ঘটে মুনমুনের। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটানা সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে অশ্লীলতার জন্য তার বিপক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তৎকালীন সরকার।
এজন্য ২০০৩ সালের পর তার চলচ্চিত্রে উপস্থিতি কমে যায়। মুনমুন এখন সিনেমায় অনেক টাই অনিয়মিত। ৬ বছরে ৮০ টির মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। আর গেল ১৮ বছরে সিনেমার সংখ্যা হাতেগোনা ১০টির মতো। সর্বশেষ ২০১৯ সালে হারুন-উজ-জামান পরিচালিত ‘পদ্মারপ্রেম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
তবে অশ্লীল তকমা নিতে নারাজ এই নায়িকা। কারণ যখন যে জোয়ার আসে তাতে অনেক সময় অভিনয় শিল্পীদের কিছুই করার থাকে না। এমনটাই বিশ্বাস এই নায়িকার। সম্প্রতি কথা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ক্যারিয়ার নিয়ে। সেখান থেকে চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
সিনেমা ছাড়ার কারণ হিসেবে মুনমুন বলেন, ‘ছাড়ার আগে সিনেমার সার্বিক অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল। আমার জন্য কাজ করাটা খুব কঠিন হয়ে ওঠছিল। অশ্লীলতা আর ফিল্মি পলিটিক্স অন্যতম দুটো কারণ। এতো হিট ছবি উপহার দেওয়ার পরও সবাই বলত, আমি অশ্লীল ছবির নায়িকা! মনটা বিষাদ ময় হয়ে উঠেছিল। তাই দূরে সরে যাই।
এই বিষাদময় কথা গুলো আরও মন খুলে জানালেন মুনমুন। নামের পাশে এখনো অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়? এই প্রশ্নের জবাবে মুনমুন বলেন, ‘আমি অশ্লীলনা। তখনকার অনেক নায়িকাদের চেয়ে আমি অনেক সহনশীল পোশাক পরেছি। স্লিপলেস আমি পরতাম নাহ, নির্মাতারা আমাকে জোর করত, আপু আপনাকে হাফপ্যান্ট পড়তেই হবে। আপনার রান না দেখলে দর্শক হলে ঢুকেনা। আমি শখ করে হাফপ্যান্ট পরতাম নাহ। তখনকার সময় এমন কোন নায়িকা নাই যে হাফপ্যান্ট পরে নাই। সবাই পরেছে।