আবারও কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলা

আফগানিস্তানের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে পাঁচটির মতো রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রায় শেষের দিকে থাকার মধ্যেই রকেট ছোড়া হলো বিমানবন্দরে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব রকেটের প্রতিটিই প্রতিহত করেছে কি না, তা জানাতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা।

সোমবার (৩০ আগস্ট) কাবুল সময় ভোরে এ হামলা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, বিমানবন্দরের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রকেটগুলো প্রতিহত করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রায় শেষের দিকে থাকার মধ্যেই রকেট ছোড়া হলো বিমানবন্দরে।

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব রকেটের প্রতিটিই প্রতিহত করেছে কি না, তা জানাতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, প্রাথমিক খবর অনুযায়ী হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক হতাহত হয়নি। তবে তথ্য পাল্টাতে পারে।

এর আগে রোববার কাবুলে একটি যানবাহনকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। দেশটির ভাষ্য, ওই যানে করে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা ছিল একজনের।

নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়ার আগে নিজ নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের উড়িয়ে নিতে তড়িঘড়ি করছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। এর মধ্যেই আইএসের স্থানীয় শাখা আইএস-কের নতুন হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, আইএস-কে বিমানবন্দরে রকেটে হামলার পরিকল্পনা করছে।

এ ধরনের হামলা প্রতিহতের অভিজ্ঞতা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটি ইরাকে এ ধরনের আঘাত মোকাবিলা করেছে। এর অংশ হিসেবে তারা বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ১৩ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৭০ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে অনেক আফগান রয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকে কাবুল বিমানবন্দর ঘিরে আত্মঘাতী বোমা ও গাড়িবোমা হামলার শঙ্কা বেড়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা এখনও ভয়াবহ। তিনি পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পরবর্তী হামলার শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Translate »