আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই হারের ফলে টাইগারদের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন কঠিন হয়ে গেছে। সুপার ফোরের টিকিট পেতে হলে নানা রকমের সমীকরণের মুখে দাঁড়িয়ে আছে সাকিব আল হাসানের দল। এই সমীকরণের প্রথম শর্ত, পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। তাই পাকিস্তানে যেতে ক্যান্ডি থেকে বাসে করে কলম্বোয় পৌঁছেছে টাইগাররা। সেখান থেকে বিকেল ৪টার চাটার্ড ফ্লাইটে লাহোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন সাকিব-মুশফিকরা।
আরো পড়ুনঃজাপান সাগরে মিসাইল ছুড়লো উত্তর কোরিয়া
গতকাল পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটের হার দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৬৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় সাকিবের দল। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে বেশ কয়েকটি উইকেট হারালেও ৬৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই বন্দরে তরী ভেড়ায় লঙ্কানরা।
তাই এখন সমর্থকদের মনে প্রশ্ন জাগছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই কি শেষ রক্ষা হবে বাংলাদেশের? যদিও রশিদ খানদের বিপক্ষে জিতলেও পার হতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র বাধা। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে যেতে হলে আফগানদের হারানোই শুধু যথেষ্ট নয়, অনেক বড় ব্যবধানে জয়ও প্রয়োজন হবে।
যদি গ্রুপের তিন দলই একটি করে ম্যাচ জিতে নেয়, তাহলে পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে পরের পর্বে যাওয়ার টিকিট হয়ে উঠবে রানরেটে। সেখানে এশিয়া কাপের শুরুতেই বেশ পিছিয়ে যাওয়ায় সেরা চারও অনিশ্চিত টিম টাইগার্সের জন্য।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারলেও ব্যাট হাতে ৮৯ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটার এখনও সুপার ফোরে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। তাই এখন পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব (সুপার ফোরে খেলা)। তবে এত দূর চিন্তা না করে আমাদের এখন পরের ম্যাচটা কীভাবে জিততে পারি, সেটা নিয়েই পরিকল্পনা করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ওই ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব। ম্যাচটা যদি জিতি, তাহলে কি পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেটা তখনই দেখা যাবে।’