আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ইসলামে আত্মহত্যার কোনো স্থান নেই। বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আত্মহত্যা করার ভয়াবহ শাস্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড়ের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামে বিষ তার হাতে থাকবে, সে বিষ বারবার সে পান করতে থাকবে। আর কষ্ট পেতেই থাকবে। চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার মাধ্যমে নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস ৫৪৪২, সুনানে নাসায়ি, হাদিস ১৯৬৪)
হাদিসে আরো উল্লেখ হয়েছে-
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যাক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে (অনুরূপভাবে) নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে আর যে ব্যাক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নাম (অনুরূপভাবে) বর্শা বিঁধতে থাকবে’। (বুখারি, হাদিস ১৩৬৫)
আত্মহাত্যকারীর জন্য দোয়া করা কি জায়েজ?
আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। অনেক ক্ষেত্রে এ গুনাহ থেকে তওবাও সম্ভব হয় না। তাই এর ভয়াবহতা খুব বেশী। কিন্তু এ ধরনের মুসলমান ব্যক্তিরও জানাজা পড়তে হবে। তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সম্পূর্ণ জায়েজ। বরং তার আত্মীয় স্বজন তার জন্য আরো বেশি বেশি মাগফিরাতের দোয়া করা প্রয়োজন। (বুখারি ১/১৮২, রদ্দুল মুহতার ২/২১১, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৩)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘আমরা কবিরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিদের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করতাম না। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যখন শুনলাম- ‘আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করবেন না। শিরক ছাড়া যেকোনো গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন’। আর আমি উম্মতের মধ্যে কবিরা গুনাহে জড়িয়ে যাওয়া লোকদের জন্য আমার সুপারিশের ক্ষমতাকে জমা করে রেখেছি এরপর থেকে আমরা তাদের জন্য দোয়া করতাম’। (মুসনাদে বাযযার, হাদিস ৫৮৪০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস ১৭৬০১)