অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষাগুলো হতে পারে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে

করোনার কারণে এবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাগুলো নেয়া হতে পারে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। পতিষ্ঠান খোলার উপর নির্ভর করে তিনধাপে শর্ট সিলেবাস তৈরি করেছেন  বিশেষজ্ঞরা। এতে তারা প্রতিটি ধাপের প্রস্তাবের উপর ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন।

প্রাথমিক স্তরের সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। আর মাধ্যমিক স্তরের তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।  বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠান দুটির প্রস্তাব শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার কথা রয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন নেপ ও এনসিটিবির সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন  বলেন, করোনার কারণে এবার আমাদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) কেন্দ্রীয়ভাবে নেবো না। তবে এ পরীক্ষাটি এবার স্কুলে স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
নেপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পিইসি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্বান্ত দিলেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্কুল পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়ে একটি সার্টিফিকেট দেয়া হবে। কারণ, তাদের মেধা বৃত্তি দিতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ বলেন, শ্রেণি শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি ধাপে পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যদি সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস নিতে সময় পাবে ৭৩ কর্ম দিন। অক্টোবরে খুললে ৫০ কর্ম দিবস পাওয়া যাবে আর নভেম্বরে খুললে পাবো ৩০টি কর্ম দিবস। এই তিন ধাপের কর্ম দিবস অনুযায়ী সিলেবাস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবটি জমা দেয়া হবে। যেদিন স্কুল খোলার নির্দেশনা আসবে সেভাবে সিলেবাস শেষ করা হবে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে প্রত্যেক স্কুলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পাঠিয়ে দেয়া হবে।

Translate »