আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ যখন নাটকটি শুরু করেছিলাম, তখন চিন্তা ছিল, দর্শক পছন্দ করবেন কি না। চ্যানেল থেকে আমাকে বলাও হয়েছিল, এখন যেসব ধারাবাহিক প্রচারিত হয়, স্পন্সরের ওপরই নির্ভর করতে হয়। দর্শক পছন্দ করলে শত পর্ব হবে, না হলে আগেই বন্ধ হয়ে যাবে। ফাইনালি দর্শক পছন্দ করায় শততম পর্ব প্রচারিত হচ্ছে। ১০৪ পর্বে নাটকটি শেষ হচ্ছে। সেই হিসাবে আমি খুবই খুশি। এখন তো ভিউও একটা গুরুত্ব বহন করে। প্রতিটা পর্ব ইউটিউবে আপলোড করার পরও দর্শক আগ্রহ নিয়ে যে দেখছেন, লাখ আর মিলিয়ন ভিউতে তা বোঝা যাচ্ছে। এটা আমার জন্য ভীষণ উৎসাহের।
হান্ড্রেড এপিসোডই করার পরিকল্পনা ছিল। আমার গল্পে মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে বিবাহ। আমাদের সমাজের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত-সব শ্রেণির বিয়ে নিয়ে নানা ধরনের চিন্তা আছে। আমি ও আমার কো–রাইটার নওমী কামরুন বিধু গবেষণা করে বিয়েবিষয়ক ৪৬টা পয়েন্ট বের হয়েছি। এই নাটকে মাত্র ১২টা পয়েন্ট ব্যবহার করতে পেরেছি। আরও বাকি আছে, এটা দিয়ে সিকুয়েল বা নেক্সট সিজন-যে নামেই হোক, কিছু একটা বানাতে চাই।
পাঁচ বছর ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্ক্রিপ্ট ডেভেলপমেন্টের কাজ করে যাচ্ছি। সরকারি অনুদানের জন্য জমাও দিয়েছিলাম, পাইনি। এখন নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রথম সিনেমা হয়তো নিজের বা বন্ধুবান্ধবের টাকায় বানাতে হতে পারে। সবকিছু তো আমাকে প্রমাণ করে করে যেতে হয়। তবে একদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান। আমার সবকিছু পেতে অনেক কষ্ট হয়।
অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন দেখতে হতাশা লাগে, ক্লান্ত লাগে। একসময় অভিনয় নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। আমার কাছে মনে হয়, অভিনয়টা পরনির্ভরশীল শিল্প। আমার তাকিয়ে থাকতে হয়, ভালো বাজেটে, একটি ভালো গল্পে, একজন ভালো পরিচালকের অধীনে একটি ভালো চরিত্রে সুযোগের। আমি যত অসামান্য অভিনেতাই হই না কেন, এটি আসলে আমার হাতে নেই।