আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ করোনা দুনিয়াটাকে বদলে দিয়েছে। আর এই বদলের সঙ্গে নিজেকে ‘রাঙিয়ে’ নেওয়ার কথা বলেছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের প্রত্যেকের এই বদলকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করা উচিত।
খুব শিগগির ‘বেল বাটম’ ছবিতে হুমাকে দেখা যাবে। এই করোনাকালের মধ্যে হুমাকে ‘মহারানি’, ‘আর্মি অব দ্য ডেড’ ছবিতে দেখা গেছে। ‘মহারানি’তে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। আর ‘আর্মি অব দ্য ডেড’ সিনেমার মাধ্যমে হলিউডি ছবির দুনিয়ায় পা রেখেছেন হুমা।
হুমা বলেছেন, ‘এই মহামারির মধ্যে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা একদম অন্য রকম। আমরা আগের মতো এখন সবকিছু করতে পারি না। তবে ফিল্ম ইউনিটের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সবকিছু খুব সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করেছে তারা। আশা করি, খুব শিগগির আমরা করোনামুক্ত হব।
এই অতিমারির সময় হুমার নতুন উপলব্ধি, ‘সময়ের সঙ্গে আমাদেরও বদলাতে হবে। সময়ের রঙে নিজেদের রাঙাতে হবে। কয়েক বছরের মধ্যে ওটিটি অনেক বড় আকারে এসেছে। আর আমরা এই মাধ্যমকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে একথা ঠিক, কিছু ছবি বড় পর্দার জন্য নির্মাণ করা হয়। আবার কিছু ছবি ওটিটির জন্য উপযুক্ত।
জানা গেছে, অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘বেল বাটম’ ছবিতে হুমাকে ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যাবে। নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে এই বলিউড তারকা বলেছেন, ‘একটা মিশন নিয়ে ছবিটি বানানো হয়েছে। আর কীভাবে সব এজেন্ট একটি মিশনকে সফল করে, গল্পে তা দেখা যাবে। এই মিশনে আমার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, গুপ্তচর।
হুমা তাঁর প্রথম হলিউড ছবি ‘আর্মি অব দ্য ডেড’–এ কাজ করার মজার স্মৃতি তুলে ধরেছেন। তিনি এই ছবির অভিনয়শিল্পীদের নিজের হাতে রেঁধে ভারতীয় খাবার খাইয়েছিলেন। ডাল তরকা, বাটার চিকেন, জিরা আলু রান্না করে খুশি হুমা বলেন, ‘আমেরিকার অ্যালবাকিউরোতে ছবির শুটিং ছিল। ওখানে আমরা একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে ছিলাম। আর তখন ওই ছবির কিছু অভিনেতা ভারতীয় খাবার খাওয়ার আবদার করে। আমি বললাম, রান্না আমি করে দেব, কিন্তু ভারতীয় মসলা লাগবে। ওখানে ভারতীয় দোকান খুঁজে বের করি। কুকার, গরমমসলা, শুকনা মরিচসহ সব মসলা কিনে এনে রান্না করেছিলাম। ওরা চেটেপুটে খেয়েছিল।
‘মহারানি’ সিরিজে হুমার অভিনয় সবার মন জয় করেছে। আর তাঁর কাছে এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং চরিত্র ছিল। লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী, তথা বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হুমা। এই বলিউড অভিনেত্রী বলেছেন, ‘ভক্তদের কারণে নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস পাই। আমি কখনোই তাদের নিরাশ করতে চাই না। আমি চাই, আমাকে নিয়ে ওরা গর্ববোধ করুক। আগামী দিনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত। “মহারানি” ছবির পর বাড়িতে আমার ভাই এখন আমাকে এই নামেই ডাকে।