আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ হারিস আওয়ার (রহ.) বলেন, একদিন দেখলাম কিছু লোক মসজিদে বসে নবিজির (সা.) হাদিস বা দীনের অস্পষ্ট ও জটিল বিষয় নিয়ে অতিমাত্রায় বাকবিতণ্ডা করছে। আমি হজরত আলীর (রা.) কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে বললাম। আলী (রা.) বললেন, তারা এ রকম কাজ (অহেতুক) করছে নাকি! আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, সাবধান! শীঘ্রই পৃথিবীতে ফেতনা শুরু হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! এ থেকে বাঁচার উপায় কী? আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর কিতাব, এতে তোমাদের আগের ও পরের খবর রয়েছে। তোমাদের মধ্যকার বিতর্কের ফয়সালার পদ্ধতিও আছে। সত্য মিথ্যার পার্থক্যও আছে। এটা কোনো অর্থহীন কিতাব নয়
যে অহংকারী ব্যক্তি এ কোরআন ত্যাগ করবে, আল্লাহ তাআলা তার অহংকার চূর্ণ করবেন। যে ব্যক্তি এর বাইরে হিদায়াত সন্ধান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। এ কোরআন হলো আল্লাহর মজবুত রজ্জু, জিকির ও সত্য সরল পথ।
আরও পরুনঃ শবে বরাত যেভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎসবে পরিণত হলো
কুরআন অবলম্বন করে কোন প্রবৃত্তি বিপথগামী হয় না। এর দ্বারা জবানের কষ্ট হয় না। প্রজ্ঞাবানগণ কোরআন পড়ে বিতৃষ্ণ হয় না। এ কোরআন বার বার পাঠ করলে পুরনো হয় না। এ কোরআনের বিস্ময়কর তথ্য অশেষ। কোরআন শুনে জিনরাও স্থির থাকতে পারেনি । তারা কোরআন শুনে বলে উঠেছিল,
إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ
আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি, যা সত্যের দিকে পথ দেখায়; অতঃপর আমরা তাতে ঈমান এনেছি। (সুরা জিন: ১, ২)
যে কোরআন অনুযায়ী কথা বলে, সে সত্য বলে, যে কোরআন অনুযায়ী আমল করে, সে প্রতিদান লাভ করে, যে কোরআন অনুযায়ী বিচার-আচার করে, সে ন্যায়বিচার করে, যে মানুষকে কোরআনের দিকে ডাকে, সে সিরাতে মুস্তাকিম বা সত্য সরল পথের দিশা লাভ করে।