মিরপুরের উইকেট বিবেচনায় রংপুর রাইডার্সের ১৮৬ রানের লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিলো। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এই রান তাড়া করে ফেলেছে নয় বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখে। যার বড় কৃতিত্ব তাওহিদ হৃদয় ও লিটন দাসের।
ইনিংসের প্রথম বলেই ফজলহক ফারুকি ফেরান কুমিল্লার ওপেনার সুনিল নারিনকে।
তাতেও ভড়কে যাননি তাওহিদ ও লিটন। উল্টো দ্বিতীয় উইকেটে রংপুরের বোলারদের কোনো পাত্তাই দেননি দুজন। বিশেষ করে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদশর্নী দেখিয়েছেন তাওহিদ। দুজনের ১৪৩ রানের জুটিতেই জয়ের ছবি এঁকে ফেলে কুমিল্লা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানিয়েছেন, তাওহিদের সঙ্গে জুটি তাঁর জীবনের সেরা। কুমিল্লার অধিনায়ক বলেছেন, ‘অসাধারণ, আমার জীবনের তো সেরা (জুটি)। এরকম কখনো হয়নি, সঙ্গীর সঙ্গে এমন ব্যাট করেছি (টি-টোয়েন্টিতে)। আমার মনে পড়ে না।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটার।
যেভাবে সে (তাওহিদ) ব্যাট করেছে, অসাধারণ। নন স্ট্রাইকিং থেকে দেখেই ভালো লাগছিল। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একজন সঙ্গীর কাজ হচ্ছে আরেকজন সঙ্গীকে নির্ভার করে দেওয়া। সে আমাকে নির্ভার করে দিয়েছে বাকিটা খেলার জন্য।
লিটনের ভালো লাগাটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে দুজনেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার হওয়ায়, ‘সাধারণত আমরা (বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা) এতো বড় বড় রান তাড়া করি না।
এদিক থেকে অন্যতম সেরা বলতে পারেন। যেহেতু দুজনই বাঙালি, দুজনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আশা করি, এভাবে চালিয়ে যেতে পারবো।