আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ হত্যাচেষ্টা, মারধর ও চুরিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে গুলশান থানায় মামলাটি করেন মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি মূলত ভবনটির মালিক।
মামলায় ববি হককে দ্বিতীয় আসামি করা হলেও প্রথম আসামি করা হয়েছে তার কথিত বন্ধু মির্জা আবুল বাসারকে।ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াইএন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। রেস্টুরেন্টর নামকরণ করা হয় ‘ববস্টার।
রেস্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্তদের। তারা প্রথমে ১৫ লাখ পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও দুটি চেকই বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি-ধমকি দেন।
একপর্যায়ে বকেয়া ভাড়া ও অনিয়মের অভিযোগে ভবনটির মালিক রেস্তরাঁটি বন্ধ করার নির্দেশ দিলে মারামারির ঘটনা ঘটে।এদিকে এ ঘটনায় ববি ও বাশারও পাল্টা মামলা করেছেন। ববির পক্ষ হয়ে মো. আব্বাস মামলা করেন। ভবনের মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তার সন্তান জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। ৫৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করা হয়েছে। একটি ঘড়ি চুরি হয়েছে, যার দাম চার লাখ টাকা। এ ছাড়া নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণের চেইন ও একটি আইফোন চুরি হয়েছে। যা উদ্ধার হয় নাই।
এ ঘটনা নিয়ে ববির অপারেশন পার্টনার (সহযোগী) আবুল বাশার বলেন, রেস্তোরাঁ করার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হই। মূলত এটা ববির রেস্তোরাঁ হওয়ার কথা ছিল। আমি ছিলাম অপারেশন পার্টনার। ববির পক্ষ থেকে কাজ করতাম। মে মাসের ভাড়াও দিয়েছি। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো হয়ে গেছে। এখন বিষয়টা দেখেন, যখন ববি কোনো রেস্টুরেন্ট করবে, সেটার কাগজপত্র নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকবে। সেই কারণেই আমরা মালিকপক্ষের কাছে পরে ভবনের বৈধতার কাগজ চাই। দিব দিব করে তারা ঢিলেমি করেন। এখান থেকেই ঝামেলা শুরু হয়।
মারধরের ভিডিও রয়েছে উল্লেখ করে বাশার বলেন, অনেক বলার পরও বৈধ কাগজ দেন নাই। পরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন। তা ছাড়া ফায়ার এক্সিট নাই। এটা–সেটা নিয়ে ঝামেলা করেন। একদিন গিয়ে দেখি, আমাদের জিনিসপত্র সব বাইরে ফেলে রেখেছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো আমাকে মেরে তারা নাটক সাজান। আমার কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। যারা আমাকে মেরেছেন, তারা সবাই ওই ভবনে থাকে। বাধ্য হয়ে মার খেয়ে চলে আসি। আমি ছিলাম একা আর তারা ছিলেন ১৫ থেকে ২০ জন।