আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বাবার ইচ্ছায় সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। কিন্তু সুখবর জানিয়ে আবারও ফিরে এসেছেন সিরাজ ও মুসকান।
গত ১৫ মে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভ্লগে সিরাজ ঘোষণা দেন আর ভ্লগিং করবেন না তিনি। কারন তার বাবা চান, ভ্লগিং নয়, পড়ালেখা নিয়ে মনোযোগী হোক সিরাজ। তাই বাবার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভ্লগিং বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এ ঘোষণার পরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠে আলোচনার ঝড়। কেউ সিরাজের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়, আবার অনেকেই সমালোচনায় মেতে ওঠেন সিরাজের বাবার। কিছু নেটিজেন দাবি করেন, সপ্তাহে এক দিন ভ্লগ বানালে হয়তো পড়ালেখার অত ক্ষতি হতো না। তাই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তানের প্রতিভা নষ্ট করছেন সিরাজের বাবা।
তবে আলোচনা-সমালোচনার মাঝে এবার মুখ খুললেন সিরাজের বাবা। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সিরাজের ভ্লগিং ছাড়ার ঘোষণায় অনেকেই আমাকে দোষ দিচ্ছেন। অনেকেই অনেক প্রশ্নও তুলেছেন। আমি আজ আপনাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই এসেছি।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সিরাজ ও মুসকানের জন্য আমরা অনেক সম্মান পেয়েছি। আমরা পাহাড়ি মানুষ। সাধারণ জীবনযাপন করি। অল্প বয়সে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ায় সিরাজের আচরণ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছিলো। মানুষের সঙ্গে কিছুটা কঠোর আচরণ করছিলো সে। একই সঙ্গে পড়ালেখায়ও অমনোযোগী হয়ে পড়ছিলো। তাই আপাতত সিরাজকে আমি ভ্লগিং থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভিডিও বার্তার একদম শেষে তিনি বলেন, এতো সাবস্ক্রাইবার বা ভিউ আমি চাইনা! সিরাজের জন্য যদি কখনো আমাদের গ্রামের মানুষের ভালো কিছু হয়, একটা হাসপাতাল বা একটা স্কুল তাহলে সেটাই হবে আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপার। আমি কথা দিচ্ছি, সিরাজ ও মুসকান আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: ছেলে আব্রামের পেছনে মাসে যত খরচ হয় শাহরুখ খানের !
তবে তাদের বাবার কথা এতো দ্রুত ফলে যাবে তা দেখে অবাক এবং খুশি হয়েছেন সিরাজ-মুসকান ভক্তরা।
স্টার্টআপ পাকিস্তানের তথ্যমতে, সিরাজ-মুসকানরা ১৬ দিন আগে নতুন ভিডিওর মাধ্যমে ফিরে এসেছেন।
দ্য ভেরিফায়েড পাকিস্তান নামে ইনস্টাগ্রাম পেজেও এমন তথ্য দেখা গেছে।
সিরাজের ইউটিউব চ্যানেলের নাম সিরাজি ভিলেজ ভ্লগ। ভিডিও কন্টেন্ট শুরু করার মাত্র চার মাসেই চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবার ছাড়ায় ১৬ লাখ।
সহজ সরল ভাষায় গ্রাম ঘুরে ঘুরে নিজের জীবনযাপন তুলে ধরাই ছিল তার কনটেন্টের মূল বিষয়। সঙ্গে থাকত বোন মুসকানকে নিয়ে খুনসুটি। আর এ কারণে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সিরাজ ও মুসকান।