১৯ বছর পর জানা গেল তাহসানের ‘আলো’ গান কাকে নিয়ে লেখা!

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তার গাওয়া যেসব গান দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেগুলোর মাঝে অন্যতম একটি ‘আলো আলো’। আলোচিত গানটি কাকে নিয়ে লেখা—সম্প্রতি এমন প্রশ্ন ঘুরছে চারপাশে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এই শিল্পী।

তাহসান বলেন, ‘আলো আলো’ গানটি ২০০৬ সালে লেখা। তখন আমি বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে ফেলতাম। সেই অন্ধকারে জোছনা দেখতাম। তখন কবি কবি একটা ব্যাপার ছিল আরকি। তখন আমার মা মাঝে মধ্যে ঘরে ঢুকে বলতো তোর কী সমস্যা, সারাদিন চাঁদের দিকে তাকায়ে থাকিস কেন? চাঁদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আমার একটা টান ছিল, প্রত্যেকেরই থাকে প্রকৃতির সঙ্গে একটা যোগাযোগ তৈরি করার। আমিও প্রকৃতির সঙ্গে অর্থাৎ চাঁদের সঙ্গে স্থায়ীভাবে যোগাযোগ তৈরি করতাম। তখনই ইচ্ছে ছিল যে কিছু একটা লিখব।

ব্যক্তিগত ঘটনা থেকেই এই গানের উৎপত্তি জানিয়ে তাহসান বলেন, এই গানটি যখন লেখা হয়, সেটা আমার একটা পারসোনাল স্টোরি। কাউকে কখনো বলিনি, হয়তো পুরোপুরি বলতেও পারব না। তবে কাছাকাছি যাই—আমাদের জীবনে আমরা যখন কোনোকিছু পেয়ে যাই, তখন কিন্তু যে মর্মটা, সেটা হারিয়ে ফেলি আস্তে আস্তে। আপনি হৃদয়ের গভীর থেকে যদি কোনো জিনিস চাচ্ছেন, এটা যদি দূর থেকে অ্যাপ্রেসিয়েট করেন আর ওটা যদি না পান, তাহলে ওই অনুভূতিটা সারাজীবন থেকে যায়। চাঁদের আলোটা রূপক অর্থে সেই অনুভূতি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি, আর আমি তাকে পাব না, এই অনুভূতিটা ধারণ করি বলেই প্রেমটা সারাজীবন থেকে যায়। আমাদের পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটাও যদি পেয়ে যাই, তখন কিন্তু কদর করতে পারি না।

এই গায়ক উদাহরণ টেনে বলেন, আমি সবসময় ভাবতাম আমার লিভিং রুমে যদি একটা পিয়ানো থাকতো তাহলে হয়তো প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা বাজাতাম। কিন্তু দেখেন আমার লিভিং রুমে পিয়ানো আছে। আমি কিন্তু প্রতিদিন বাজাই না। ঠিক ওই সেন্সটাই একটা স্পেসিফিক ঘটনা থেকে আমার মাথায় এসেছিল। সেটা হয়তো বলতে পারছি না। একটা জিনিসের ওপর আমার ইমোশন এসেছিল, যেহেতু আমি সেই ইমোশন এক্সপ্লোর করতে পারব না, ওটাই আমার বুকের ভেতরে ধরে রেখেছিলাম। আমরা প্রতিটা মানুষই মনে হয় ওটা করি। সবাই হয়তো আমার সেই গানে জিনিসটা ফিল করতে পেরেছে, চাঁদকে আমরা দেখতে পাই কিন্তু কখনো নিজের হবে না।

এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তাহসান। গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।

এদিন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রোজা আহমেদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট দিয়েছেন তাহসান। ছবিতে তাহসান খান একটি পাঞ্জাবি পরে ছিলেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের শাড়ি পরেছিলেন তার নতুন স্ত্রী রোজা। রোজার হাতে মেহেদি লাগানো।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে এই নবদম্পতি রওনা হন মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে। তিন-চার দিন সূর্যময় দ্বীপরাজ্যেই কাটবে তাদের মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো।

Leave a Reply

Translate »