আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজ নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তিনি একাই নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ আহমেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এ ছাড়া প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলে-মেয়ে। রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা প্লট বুঝে পান ২০২২ সালে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর এ সংক্রান্ত প্লট বরাদ্দ বাতিলের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন আদিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত প্লট মালিকরা।
এদিকে সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকার পূর্বাচলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত ৬০ কাঠা প্লট বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ রিট করেন। তারা হলেন- মো. রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, মো. বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম রিগান, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান শাহীন এবং মো. জিল্লুর রহমান।
রিটে প্লট বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত এবং সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বরাদ্দের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটকারী আইনজীবীরা জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্লট নেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এ ছাড়া ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলে-মেয়ে।
তারা আরও জানান, ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে সব প্লট একত্রে সন্নিবেশিত করার সুযোগ দেয় রাজউক।