আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাওয়াত। ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁটকাটা হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। কোনো মন্তব্য করতে যেন কাউকেই পরোয়া করেন না। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝেমধ্যেই উঠে আসেন খবরের শিরোনামে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বলে বসলেন, যদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিত, তাহলে ভারত এতদিনে বাংলাদেশ হয়ে যেত।
সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্স-এ উঠে এসেছে কঙ্গনার এই ভিডিও বক্তব্য।যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে, সেটা এ দেশে ঘটতেও দেরি হতো না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাত। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক মৃতদেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে, সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু কৃষক আইন প্রত্যাহারের পরও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এ ধরনের আন্দোলনের পেছনে আপনার কী মনে হয় কৃষকদের হাত আছে! নাহ, এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এ ধরনের বিদেশি শক্তি এভাবেই ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আর এখানকার কিছু লোকজন ভাবে, ওদের দোকান তো চলুক, তাতে দেশ গোল্লায় যাক। এই লোকজন এটা বোঝে না, দেশ গোল্লায় গেলে আপনিও যাবেন।
কঙ্গনার এমন মন্তব্যে তার নিজের দলের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।পাঞ্জাবের সিনিয়র বিজেপি নেতা হারজিৎ গারেওয়াল বলেন, কৃষকদের নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার কঙ্গনার ডিপার্টমেন্টের নেই। কঙ্গনার বক্তব্য ব্যক্তিগত। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপি কৃষকবান্ধব। বিরোধী দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং কঙ্গনার বিবৃতিও তাই করছে। সংবেদনশীল বা ধর্মীয় বিষয়ে তার এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়।
এর আগে, গত জুন মাসের শুরুতে ‘কৃষকদের অসম্মানের’ অভিযোগে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কনস্টেবলের হাতে চড় খান কঙ্গনা রানাওয়াত।এদিকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনার নতুন সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’। সম্প্রতি এই সিনেমার প্রচারে গিয়েও ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে বিতর্কে জড়ান এই অভিনেত্রী।