আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অনিন্দ্য চ্যাটার্জি ও মধুজা ব্যানার্জি। একজন গানের জগতের মানুষ, অন্যজন ছবি আঁকেন, করেন লেখালিখিও। দাম্পত্য জীবনে প্রায় ১৯ বছরের পথ চলা তাদের। তবে আর এক সঙ্গে, একই পথে হাঁটা হলো না অনিন্দ্য-মধুজা। অবশেষে ভেঙে গেল তাদের সংসার।
রোববার (১৭ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের খবরটি নিজেই জানিয়েছেন মধুজা। তবে বৈবাহিক সম্পর্কে চির ধরলেও, তাদের বন্ধুত্ব বজায় থাকবে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
মধুজা লিখেছেন, অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর ( অনিন্দ্য-মধুজার ছেলে) জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত অনিন্দ্য। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি।
তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বাই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো, হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য।
তিনি আরও লেখেন, জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য- প্রায় ভাঙার বেলায় আজ ‘রোববারের’ পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা ছবি প্রকাশিত হলো। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত! আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!
মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে/ ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে/ উধাও মনের আহা/ উধাও মনের পাখা মেলবি আয়— গানের লাইন ধরেই স্ট্যাটাসটি শেষ করেছেন মধুজা।