আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ কবি, গীতিকার ও জনপ্রিয় অভিনেতা মারজুক রাসেল সামাজিকমাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিলেন। ফলে এই প্ল্যাটফর্মে তাকে অনুসরণ করতে শুরু করেন লাখ লাখ অনুসারী। মাঝে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে ছিল অনেক দিন।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় আছেন মারজুক রাসেল। তবে প্রায় সময়ই তার নামে ভুয়া আইডি খুলছে একটি কুচক্রী মহল। বলতে গেলে, ফেসবুকে মারজুক রাসেলের নামে ভুয়া আইডির ছড়াছড়ি। এর আগে এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে, কোটা আন্দোলনের শুরু থেকে মারজুক রাসেল নামক একটি পেইজ থেকে সরকারবিরোধী নানান উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল নিয়মিত। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত হয়েছেন অভিনেতা মারজুক রাসেল। যে কারণে রোবাবার (২৮ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েক দিন ধরে লক্ষ করছি আমার ছবি, নাম ব্যবহার করে অনেক ফ্যান পেইজ চালানো হচ্ছে। আর সেখান থেকে নিয়মিত সরকারবিরোধী নানা ইস্যু নিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে। যারা আমাক দীর্ঘদিন ফলো করে, যারা আমাকে চেনে, যারা আমার লেখা পড়ে, তারা জানে সেসব আমার নয়। আমার যারা কাছের মানুষ তারা জানে আমি কেমন, তারা জানে সেগুলো ফেইক পেইজ। কিন্তু অনেকেই না জেনে সেগুলো শেয়ার দিচ্ছে। যার কারণে আমি বেশ বিব্রত হচ্ছি। আর তাই আমি আজকে ডিবিপ্রধান হারুন স্যারের সঙ্গে দেখা করে যারা এইসব পেইজ চালাচ্ছে তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, ‘ত্যালফ্যাল ছাড়া যে রান্ধে’ ‘হাওয়া দেখি, বাতাস খাই’, ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’, ‘পাশা ভাই’, ‘মারজুক রাসেলের জিনিস―গোল্লা’― এসব আমার বিষয়ভিত্তিক পেইজ। কিন্তু আমার নামে একাধিক ফেইক প্রোফাইল বা পেইজ, ফ্যান পেইজ খুলে কারা চালাচ্ছে আমি জানি না।
জেমসের গাওয়া ‘তেরো নদী সাত সমুদ্দুর’, ‘হাউজি’, ‘মীরাবাঈ’, ‘আমি ভাসবো যে জলে’; আইয়ুব বাচ্চুর ‘আমি-তো প্রেমে পড়িনি’, ‘তোমার চোখে দেখলে বন্ধু’; আসিফের ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘পাগলা ঘোড়া’, হাবিব ও ন্যান্সির ‘বাহির বলে দূরে থাকুক’―এসব ছাড়াও অসংখ্য জনপ্রিয় ‘গানের কবিতা’ বা লিরিক্স মারজুক রাসেলের লেখা।
ব্যাচেলর (২০০৪), মেইড ইন বাংলাদেশ (২০০৭) তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ।