আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি নয়ে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যার বিষয়টি দুঃখজনক বলে অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছেন নাহিদ।তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢালাওভাবে ‘বহিরাগত’ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, উচিতও নয়। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্ন না ঘটে।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিসর যাতে উন্মুক্ত থাকে এবং জনগণের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিথস্ক্রিয়ারও সুযোগ থাকে। ‘বহিরাগত’ জনগণের থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি।
দ্বিতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ এই অভ্যুত্থান ও বিগত বছরগুলোতে যারা ছাত্র-ছাত্রীদের নিপীড়ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিদ্রুত মামলা করতে হবে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনের উদ্যোগে নির্যাতনকারীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নির্যাতনকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে উত্তেজিত মবকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। তবে শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মবজাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয় এবং কোনো সমাধানও আনবে না।