রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: রিজওয়ানা হাসান

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিদেশের মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর ব্যাপারে কোনো লিখিত নির্দেশনা আছে বলে জানা নেই।

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিদেশের মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদেও কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না এটি কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্য। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় এবং বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশের বিভিন্ন মিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

কয়েকটি মিশনের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং টেলিফোনে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরে ওই কূটনীতিকদের অন্য মিশনগুলোতে খবরটি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি মিশনের দূতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা এখনো তারা পাননি। তবে বিদেশের দুটি মিশন প্রধান জানিয়েছেন, তারা সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক জানান, ঢাকা থেকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়নি। 

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টেলিফোনে সরকারের এই নির্দেশনার কথা অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন দূতকে জানানো হয়েছে। তারা অন্য মিশনে জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে ছবি সরানোর বিষয়টি তদারকি করবেন তারা।

আরেক কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে যে রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সরাসরি আমাদের জানাননি। ওনার পক্ষে কাছাকাছি একটি মিশন থেকে একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের এই নির্দেশনার ব্যাপারে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে কর্মরত একজন কূটনীতিক বলেন, ‘মনে হয় আমাদের এক সহকর্মী পাশের একটা মিশন থেকে ফোন পেয়েছিলেন। তবে আমরা তো কয়েক মাস আগেই দরকারি কাজটা করে ফেলেছি। এটা বিদেশের মিশন আর সদর দপ্তরে যেমনভাবে করা হয়েছে, তার সঙ্গেই মিল আছে।

Leave a Reply

Translate »