২৩৪ শিশু ধর্ষণের শিকার হলেও মামলা ১৯৭টি

আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ গত বছর ২৩৪ শিশু ধর্ষণের শিকার হলেও মামলা হয়েছে মাত্র ১৯৭টি। বুধবার (২৬ ফেব্রয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত ‘শিশু যৌন শোষণের বিরুদ্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা’বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. রোকনুজ্জামান। 

সভায় শিশু আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শিশুর সুরক্ষায় আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করা, শিশুকল্যাণ বোর্ডের কার্যকারিতা বাড়ানো ও শিশু অধিদপ্তরের বাস্তবায়ন জরুরি।

সভায় শিশু একাডেমির মহাপরিচালক তানিয়া খান বলেন, সরকার ডিএনও টেস্ট ল্যাবরেটরিকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে। সমাজে শিশুদের প্রতি যৌন নিপীড়নের বিষয়টি লুকিয়ে রাখা হয়। এ প্রবণতা থেকে বের হয়ে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ করা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রিপোর্ট করা প্রয়োজন।

এ সময় শিশু সুরক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান অন্য বক্তারা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু যৌন শোষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণেরও আহ্বান জানান তারা।

আলোচনায় শিশুদের বিভিন্ন বিষয় সচেতনতার পাশাপাশি অভিভাবকদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন করার কর্মসূচি নেওয়ার অনুরোধ করেন। শিশু সুরক্ষায় সরকারি পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সঠিকভাবে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলেও তারা মত দেন।

আসক-এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি এম সাখাওয়াত হোসেন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা (জেবা), বিশ্বজিত দাস, টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন চৌধুরী। সভায় শিশু যৌন শোষণের বিরুদ্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনাবিষয়ক আলোচনা করেন টেরে ডেস হোমসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির।

Leave a Reply

Translate »