আইকোনিক ফোকাস ডেস্কঃ আজ ৭ জানুয়ারি। গত বছরের এ তারিখেই দেশের ইতিহাসের অন্যতম কম ভোট কাস্টিং এবং সহিংসতাপূর্ণ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দিনব্যাপী বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের শেষ দিকে এসে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বহু প্রার্থী। সরে দাঁড়ানোদের মধ্যে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন।
অথচ, ভোট গ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা স্বত:স্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি কমিশন।
তার দাবি ছিলো, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কাস্টিং হয়েছে ৪১.৮ শতাংশ। যদিও ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সকালে নিজের ভোট দিয়ে নির্বাচন ভবনে ফিরে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ভোটকেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছাড়া অন্য কারও এজেন্ট দেখতে পাননি তিনি।
টানা পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে বিশাল ব্যবধানে। সেইসঙ্গে, দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাও টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে গড়েন ইতিহাস। তবে, শেষ পর্যন্ত এ জয় বেশিদিন ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।
ছয় মাস না যেতেই জুলাইয়ে আবির্ভাব ঘটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। প্রায় এক মাসের আন্দোলন শেষে অনেকটা সিনেমার মতোই পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। তিনদিন বাদেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা এখন একটাই; একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।